শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
এ ক ন জ রে

বয়স নিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকেও হয়রানি করা হচ্ছে : আপিল বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বয়স নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে আপিল বিভাগ। গতকাল কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়াসংক্রান্ত মামলায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ মন্তব্য করে। শুনানির শুরুতে প্রধান বিচারপতি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার তালিকাও যে সঠিক, সেটাও এখন বলা যাবে না। কারণ এখানেও আবার ভুলভ্রান্তি বের হতে পারে।

এ সময় বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান বলেন, বয়সের গ-গোল পাকিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। আমার সঙ্গে নয় বছরের একটি ছেলে যুদ্ধে যুক্ত ছিল। সে আমাদের খাবার এনে দিত। তার মা রান্না করে ছেলেকে দিয়ে আমাদের বাংকারে খাবার পাঠাতেন। তাকে কি মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে?

বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ১১ বছর বয়সী কেরানীগঞ্জের লালুকে কোলে নিয়ে বীরউত্তম খেতাব দিয়েছেন। কারণ সে একাই অনেক পাকসেনা মেরেছে। বয়স নিয়ে ৬০-৭০ বছরের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স নির্ধারণ বিষয়ে অমুক্তিযোদ্ধা দিয়ে কমিটি করা হয়েছে।

২০২০ সালের অক্টোবরে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য এবং সরকার অনুমোদিত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা যাচাই-বাছাই করেই ভাতাপ্রাপ্ত সব বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম সরকারের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে তোলা হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, বছরের পর বছর ধরে জেলা প্রশাসনের তালিকার ভিত্তিতেই ১ লাখ ৯২ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা পাঠানো হতো। কিন্তু এমআইএসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার পর সংখ্যাটি হঠাৎ ২১ হাজার কমে ১ লাখ ৭১ হাজার হয়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর