বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে পদ্মাতীরের বাঁধ থেকে নেমে যাচ্ছে ব্লক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে পদ্মা তীরের বাঁধ থেকে নেমে যাচ্ছে ব্লক। সপ্তাহখানেক আগে কেশবপুর এলাকায় পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ব্লকগুলো নিচে নেমে গেছে। ওই এলাকায় নদীর পাড় থেকেই মানুষের বসবাস। ব্লকগুলো নিচে নেমে যাওয়ায় এলাকাবাসীর আশঙ্কা, যে কোনো সময় তাদের ঘরও নদীতে ভেসে যাবে। মঙ্গলবার দুপুরে দেখা যায়, ব্লক নেমে যাওয়ার পর নদীর ধারের রাস্তা স্থানীয় লোকজন বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ইতিমধ্যে বালুর বস্তা ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এলাকাবাসীর দাবি, স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না করলে বালুর বস্তায় কাজ হবে না। নদীর তীরেই আলী নেওয়াজের বাড়ি। তার স্ত্রী কহিনুর বেগম (৫০) বললেন, ‘গত বছরই বাঁধের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তখনো শুধু বস্তাই ফেলা হয়েছিল। পানি কমে যাওয়ার কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ড আর কাজে হাত দেয়নি। সারাটা বছর গেল, তাদের তো কোনো খবর নেই। আবার এখন নাকি বস্তা ফেলবে। বস্তা দিয়ে তো বড় বিপদ ঠেকানো যাবে না।’

পাশেই ফয়সাল কবিরের বাড়ি। তিনি বলেন, ‘এই বাঁধের বয়স হয়েছে। এতদিনে সব নড়বড়ে হয়ে গেছে। এবার বৃষ্টি হলেই সব নেমে যাবে। এখন হয়তো আগের মতো বালুর বস্তা ফেলবে। কিন্তু বাঁধটাই মেরামত করা দরকার। এই স্রোতের মুখে বস্তা টিকবে না।’ কেশবপুর এলাকাটি নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর রুহুল আমিন বলেন, তিনি জায়গাটি পরিদর্শন করে পাউবোকে বলেছেন। তারা বালুর বস্তা ফেলবে। প্রায় ১৫ বছর আগে এখানে নদীর বাঁ তীর রক্ষণাবেক্ষণের স্থায়ী কাজ হয়। এই কাজে ব্যবহৃত ব্লকের কোনোটির গায়ে ২০০৫ সাল আবার কোনোটির গায়ে ২০০৬ সাল লেখা আছে। এই দীর্ঘ সময়ে নদীর প্রবল স্রোতের কারণে ব্লকগুলো নড়বড়ে হয়ে গেছে। এক সারি থেকে আরেক সারির মধ্যে অনেকখানি ফাঁকও হয়ে গেছে। রাজশাহী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, ‘আপাতত বালুর বস্তা ফেলেই সমাধান করতে হবে। ইতিমধ্যে বস্তায় বালু ভরার কাজ শুরু করা হয়েছে। শিগগিরই বস্তা ফেলা হবে। একটি প্রকল্প ছাড়া তো স্থায়ী কাজ করা যায় না। প্রকল্প অনুমোদন হতেও সময় লাগে।’ শফিকুল ইসলাম আরও জানান, বুলনপুর থেকে বাঘা উপজেলা পর্যন্ত পদ্মা নদীর বাঁ তীরের যেসব জায়গায় ব্লক নেমে গেছে, সেই জায়গাগুলোতে স্থায়ী কাজ করার জন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরির কাজ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর