সিলেট মহানগরের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী থেকে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়। দূরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার। সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের এ অংশের উভয় পাশে গড়ে উঠেছে কয়েক শ অবৈধ স্থাপনা। সড়কের জায়গা দখল করে প্রভাবশালীদের কেউ গড়ে তুলেছেন স্থায়ী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, কেউ খোলা জায়গায় ফেলে রেখেছেন নির্মাণসামগ্রী। কেউ আবার সড়কের জায়গা ভাড়া দিয়ে আদায় করছেন মাসোয়ারা। এ অবস্থায় উচ্ছেদ অভিযানে মাঠে নেমেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। গতকাল প্রথম দিন কদমতলী মুক্তিযোদ্ধা চত্বর থেকে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির অফিস পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশ থেকে অন্তত ২০০ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সিসিকসূত্র জানান, সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের কদমতলী থেকে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশ দীর্ঘদিন ধরে বেদখল হয়ে আছে। প্রভাবশালীরা যে-যার মতো সড়কের জায়গা দখল করে গড়েছেন স্থাপনা। কেউ দোকানপাট নির্মাণ করে দেদার চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা। কেউ আবার মার্কেট বানিয়ে আদায় করছেন ভাড়া। সড়কের জায়গায় অবৈধভাবে এসব স্থাপনা গড়ে উঠেছে যা এত দিন অনেকেরই ছিল অজানা। এ অবৈধ দখলদারির বিষয়টি ধরা পড়ে সিটি করপোরেশন সড়কের পাশে ড্রেন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার পর। শেষ পর্যন্ত প্রভাবশালী দখলদারদের সব ধরনের অনুরোধ উপেক্ষা করে গতকাল সিটি করপোরেশন সড়কের জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে। বুলডোজার লাগিয়ে একে একে ভেঙে ফেলা হয় অবৈধ স্থাপনা। এ সময় অনেক স্থাপনার মালিক মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে সময় চান। কিন্তু এর আগে নোটিস দেওয়ার পরও স্বেচ্ছায় স্থাপনা অপসারণ না করায় তাদের সময় দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তারা। সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও স্থানীয় কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপনের নেতৃত্বে শুরু হয় অভিযান। প্রথম দিনের অভিযানে সড়কের উভয় পাশের অন্তত ২০০ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় বলে জানান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। মেয়র জানান, এসব অবৈধ স্থাপনা স্বেচ্ছায় উচ্ছেদের জন্য আগেই সংশ্লিষ্টদের নোটিস দেওয়া হয়েছিল। মাইকিংও করা হয়েছে। কিন্তু কেউ নির্দেশনা অনুসরণ না করায় এ অভিযান। যা অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দেন তিনি। মেয়র আরিফ জানান, সড়কের উভয় পাশে ৩০-৪০ ফুট জায়গা দখল করে রাখা হয়েছিল। সংশ্লিষ্টরা যেভাবে দখল করে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন তাতে কারোই মনে হবে না এটা সরকারি জায়গা। জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সম্প্রতি ওই এলাকায় রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই সময়ই অবৈধ স্থাপনাগুলো অপসারণের প্রয়োজন পড়ে। এ ছাড়া সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে ওই জায়গায় ড্রেন নির্মাণের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে করা হবে। সড়ক সম্প্রসারণ করে ডিভাইডার বসানো হবে। এজন্য বিদ্যুতের খুঁটিও সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে কদমতলী থেকে পুব দিকের সড়ককে একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনায় পরিণত করা হবে। এতে শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধি নয়, জনদুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি সেবার মানও বৃদ্ধি পাবে। জনগণও উপকৃত হবেন।
শিরোনাম
- আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
- অবশেষে চলেই গেলেন কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি
- প্রধান উপদেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন, বিশ্বাস বিএনপির: রিজভী
- মোহাম্মদপুরে অপহরণ ও নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ৯
- সাময়িক বন্ধ হচ্ছে এনআইডি সংশোধন কার্যক্রম
- ঝিনাইদহে উদ্ধারকৃত ১৬ ককটেল ধ্বংস করল বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট
- জবির নারীসহ চার শিক্ষার্থীকে মারধর
- ‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’
- দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম
- ‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন
- নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
- রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭
- মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি
- সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর
- প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
- অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
- বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
- সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
সিলেটে প্রভাবশালীদের পেটে সড়ক
কয়েক শ অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করতে মাঠে সিটি করপোরেশন
শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর