রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

গণহত্যার স্বীকৃতি ও পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নিতে হবে

নির্মূল কমিটির ওয়েবিনারে বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখন জাতীয় দাবি। এ জন্য সরকারকে অবিলম্বে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই দাবি আদায়ই হোক স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের অন্যতম লক্ষ্য।

‘বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং পাকিস্তানি গণহত্যাকারীদের বিচার’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে বক্তারা গতকাল এসব কথা বলেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

সংগঠনের সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক। বক্তব্য রাখেন মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, নির্মূল কমিটির সহসভাপতি শিক্ষাবিদ শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সর্বইউরোপীয় নির্মূল কমিটির সভাপতি মানবাধিকার নেতা তরুণকান্তি চৌধুরী, প্রজন্ম ’৭১-এর সভাপতি শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, নির্মূল কমিটির সুইজারল্যান্ড শাখার সভাপতি মানবাধিকার নেতা খলিলুর রহমান। আরও যুক্ত ছিলেন- অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি ডা. একরাম চৌধুরী, যুক্তরাজ্য শাখার নির্বাহী সভাপতি মানবাধিকার নেতা সৈয়দ এনামুল ইসলাম, বেলজিয়াম শাখার সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেত্রী আনার চৌধুরী, দৈনিক সমকালের সাংবাদিক আবু সালেহ রনি, বাংলাদেশ প্রতিদিনের আরাফাত মুন্না, ৭১ টিভির মিল্টন আনোয়ার, দৈনিক ভোরের কাগজের ঝর্ণা মনি এবং নির্মূল কমিটি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মানবাধিকার নেতা কাজী মুকুল। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতির মতো বিষয়গুলোতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে আসে। বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখন জাতীয় দাবি।

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে নির্মূল কমিটির সহযোগিতায় কাজ করলে এই দাবি পূরণ হবে বলে আমি মনে করি। আমাদের দূতাবাসগুলো বাংলাদেশের একাত্তরের গণহত্যার নৃশংসতা, ভয়াবহতা বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরার কাজে সর্বদা নিয়োজিত। তার পরেও আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে।

শাহরিয়ার কবির বলেন, এ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে আমাদের মনে রাখতে হবে ২০২১ সাল বাংলাদেশের গণহত্যারও ৫০ বছর। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির কারণে বর্তমান সরকার ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, যা গণহত্যাকারীদের বিচারের জন্য অত্যন্ত জরুরি। স্বাধীনতার প্রায় চার দশক পর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ও বিদেশের যাবতীয় বাধা অগ্রাহ্য করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া আরম্ভ করেছিলেন। দুর্ভাগ্যের বিষয় এই বিচার প্রক্রিয়া এখন স্থবির হয়ে পড়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর