সাবেক স্বামী পাইলট এস এম পারভেজ সানজারির ওপর অ্যাসিড হামলার অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা মামলায় সংগীতশিল্পী তাশবিহা বিনতে শহীদ মিলা ও তার সহযোগী কিম জন পিটার হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর মধ্য দিয়ে চার বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হলো। গতকাল ঢাকার অ্যাসিড দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূইয়ার আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের এ আদেশ দেয়। এদিন মিলা ও কিম আদালতে উপস্থিত হন। এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের নির্দোষ দাবি করে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারের আদেশ দেয়।
২০১৭ সালের ১২ মে সংগীতশিল্পী মিলা ও পাইলট পারভেজ সানজারি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। দাম্পত্য কলহের জেরে ওই বছরই ৫ অক্টোবর স্বামী সানজারির বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে একটি মামলা করেন মিলা। ওই মামলায় সানজারি জামিন পাওয়ার পর ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি মিলাকে তালাক দেন। এরপর ২০১৯ সালের ২ জুন সংগীতশিল্পী মিলার সাবেক স্বামী পারভেজ সানজারি দুর্বৃত্তদের ছোড়া অ্যাসিডে দগ্ধ হন। ওই ঘটনায় ২০১৯ সালের ৪ জুন সানজারির বাবা এস এম নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মিলা ও তার এক সহযোগীকে আসামি করে একটি মামলা করেন। অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের ৫(খ) ও ৭ ধারায় মামলা করা হয়। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিলা ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২ জুন রাত ৮টার দিকে উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টর এলাকার ৭/বি সড়কে পারভেজের গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়। তখন মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন পারভেজ। ঘটনার পর অ্যাসিডে আহত পারভেজ জানান, বিয়ে বিচ্ছেদের পর থেকেই বিভিন্ন সময় তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। মিলার সহকারী জন পিটার হাওলাদার কিম তার শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
