শিরোনাম
শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

শেষ মুহূর্তে উপচে পড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

শেষ মুহূর্তে উপচে পড়া ভিড়

খুলনায় শেষ মুহূর্তে ঈদের বাজার জমে উঠেছে। বৈশাখের খরতাপ উপেক্ষা করে বিপণিবিতানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। নগরীর নিউমার্কেট, সেইফ অ্যান্ড সেইভ, আড়ং, রেলওয়ে মার্কেট, জলিল টাওয়ার, ডাক বাংলা সুপার মার্কেট, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেট, মশিউর রহমান মার্কেট, রব সুপার মার্কেটে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি বছর ঈদে ভারতীয় সিরিয়ালের বিভিন্ন চরিত্রের নামে পোশাক চান ক্রেতারা। এ বছর তেমন চাহিদা নেই। তবে মেয়েদের নতুন দুটি পোশাক বাজারে এসেছে- সারারা ও গারারা। এ থ্রি-পিসের ওপরের অংশে ছোট টপসের মতো আর নিচে ঢোলা পাজামা থাকে। ফ্যাশন সচেতন তরুণীরা উজ্জ্বল রং ও জমকালো ডিজাইনের পোশাক পছন্দ করছেন। গরম আবহাওয়ার দিকে খেয়াল রেখে অনেকে ঈদের পোশাক কিনছেন। বেশি চলছে স্কার্ট ও ফ্রক। পাশাপাশি এবার মহিলাদের শাড়ির চাহিদাও বেড়েছে। আশা বস্ত্রালয়ের মালিক নির্মল কুমার বলেন, ঈদে সিল্ক, জামদানি শাড়ির চাহিদা বেশি। তাছাড়া বেনারসি কাঞ্জিবরণ কাতান শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে আধুনিক সব প্রসাধনীর চাহিদা পূরণে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিক্রেতাদের।

স্কুল শিক্ষক শফিকুর রহমান জানান, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এসেছি। সবাই এ দোকান সে দোকান ঘুরে কেনাকাটা করছে। মহেশ্বরপাশা এলাকার বাসিন্দা হাবিবা আক্তার বলেন, পরিবারের জন্য ঈদে কেনাকাটা করার মজাই আলাদা। এবার যেহেতু করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, তাই স্বাচ্ছন্দ্যে মার্কেটে এলাম। পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করব।

শপিং কমপ্লেক্সে বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, ঈদ সামনে রেখে ভারতীয় থ্রি-পিস, শার্ট-প্যান্ট, টি-শার্ট আনা হয়েছে। গরম বেশি হওয়ায় টি-শার্টে আগ্রহ বেশি ক্রেতার। দিনে গরম বেশি অনুভূত হওয়ায় রাতে ক্রেতারা বেশি ভিড় করছেন। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন জানান, ঈদ ঘিরে শপিংমল মার্কেটগুলোতে কেনাকাটার চাপ বেড়েছে। অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণে আইনশৃঙ্খলার কোনো অবনতি যেন না ঘটে, সে জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর