টাঙ্গাইলের সখীপুরে গৌড়মতি আমের বাম্পার ফলন হওয়ায় ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন দুই ভাই। উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ডাকাতিয়া গ্রামে দেড় একর জমিতে ৮০০ আমের চারা লাগিয়েছেন তারা। ফলনের প্রথম বছরেই ৮ হাজার কেজি কিংবা তারও বেশি আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান রফিকুল ইসলাম ও মাসুদুল ইসলাম মাসুদ। ফরমালিনমুক্ত এই আমের স্থানীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো বিক্রি করা যাবে।
সরেজমিন দেখা যায়, ছোট ছোট গাছে প্যাকেটে মোড়ানো আম ঝুলে আছে। প্রতিটি আমের ওজন প্রায় ৫০০-৭০০ প্রাম। ধারণা করা হচ্ছে- বাগানের প্রতিটি গাছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কেজি আম ধরেছে। আমের বয়স এক থেকে দেড় মাস হলেই তা কাগজের প্যাকেটে মোড়ানো হয়। যাতে আমের গায়ে কোনো প্রকার পোকামাকড় বা ছত্রাকে আক্রমণ করতে না পারে। প্রায় তিন মাস ধরে আমগুলো প্যাকেটেই থাকে এবং কোনো প্রকার বিষ দিতে হয় না বলে জানান তারা। তারা জানান, নাটোরের অভিজ্ঞ আম চাষিদের পরামর্শ নিয়েই সখীপুরে এই প্রথম গৌড়মতি আমের চাষ করা হচ্ছে। ফলনের প্রথম বছরেই আমের বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে। নিজস্ব জমিতে কৃষি ব্যাংক থেকে নামমাত্র লোন নিয়ে এই আমের বাগান গড়ে তুলেছেন বলে জানান তারা।
গৌড়মতি আমগুলো অসময়ে পাকা শুরু হয় বলে খুব সুস্বাদু, দেখতে খুব আকর্ষণীয় এবং বাজারমূল্য একটু বেশি। স্থানীয় খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আমের মূল্য ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা হলেও বাগান থেকে পাইকারি হিসাবে ২২০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি।আম চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় তিন বছর আগে সখীপুরে নতুন এই গৌড়মতি আমের চারা লাগিয়েছি। এই বছর প্রথম আমের ফলন পাচ্ছি। কয়েক দিন ধরে বিক্রি শুরু হয়েছে, আরও দেড় মাস পর্যন্ত এই আম বিক্রি করে যাবে। বিষ ও ফরমালিনমুক্ত এই গৌড়মতি আম বিক্রি করতে পারলে আমাদের দুই ভাইয়ের ভাগ্য বদল হবে।