‘হ্যালো এসবি অ্যাপ’ উদ্বোধন করে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, জনগণের সেবাপ্রাপ্তি সহজ করার ক্ষেত্রে এ অ্যাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে এটি এক চমৎকার উদ্যোগ। পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ‘হ্যালো এসবি অ্যাপ’ অনন্য সংযোজন। গতকাল স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) হেডকোয়ার্টার্সের কনফারেন্স রুমে এই অ্যাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে মাল্টিপারপাস হলে এসবির সদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন আইজিপি।
এ সময় এসবির অফিসার ও ফোর্সের কল্যাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসবি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া, এসবির ডিআইজি (প্রশাসন) মো. হুমায়ুন কবির।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘হ্যালো এসবি অ্যাপ’-এর মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট/এমআরপি, পাসপোর্ট নবায়ন/সংশোধন, ইমিগ্রেশন সেবা, দ্বৈত নাগরিকত্ব, ভিসা ইস্যু/নবায়ন, নিবন্ধন, সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স, এনজিও সংক্রান্ত তথ্য, দত্তক, ভ্রমণ ইত্যাদি সেবা সহজে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া, এ সংক্রান্ত কাজে সংশ্লিষ্ট সেবা গ্রহীতারা ‘হ্যালো এসবি অ্যাপ’-এর মাধ্যমে অভিযোগ ও পরামর্শ প্রদান কিংবা কোনো তথ্য প্রদান করতে পারবেন। এ অ্যাপের মাধ্যমে পাসপোর্ট সংক্রান্ত অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় কোথাও অহেতুক মুলতবি থাকলে অথবা এসবি সদস্য কিংবা অন্য কোনো সংস্থার সদস্য কর্তৃক দুর্ব্যবহার অথবা অনৈতিক প্রস্তাব পেয়ে থাকলে তাও জানানো যাবে। পাশাপাশি, বিমানবন্দর, স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর দিয়ে যাতায়াতকালে দেশি-বিদেশি কোনো যাত্রী ইমিগ্রেশন অফিসার কর্তৃক দুর্ব্যবহার বা হয়রানির শিকার হয়ে থাকলে এ অ্যাপের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা যাবে। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের ‘প্লে স্টোর’ থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।
আইজিপি বলেন, এসবি সবচেয়ে পুরনো, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। এসবি জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, রাজনৈতিক, আইনশৃঙ্খলা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ধর্মীয় উৎসব পালনসহ যে কোনো ইস্যুতে আগাম গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করে থাকে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা রক্ষা ও দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এসবির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশের প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে। সক্ষমতা ও পেশাদারিত্ব বেড়েছে। শুধু পুলিশেরই নয়, দেশের সর্বক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটেছে। মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে, ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় এখন প্রায় ৩ হাজার ডলার।
অনুষ্ঠানে আইজিপি এসবির বর্তমান কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে একটি তথ্যবহুল ভিডিও চিত্র উপভোগ করেন। তিনি এসবির সার্বিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
