মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। এ উপলক্ষে আজ বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে সৈয়দ আশরাফ স্মৃতি সংসদ। সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হন সৈয়দ আশরাফ। ১৯৭০ সালে তিনি তৎকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৭৪ সালে সৈয়দ আশরাফ উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডন চলে যান। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর তাঁর পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম জেলখানায় নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হলে দীর্ঘসময় তাঁকে প্রবাসে থাকতে হয়।

এ সময় তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।  ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব নেন। ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়লাভ করলেও শপথ গ্রহণের আগেই তিনি মারা যান।

ওয়ান ইলেভেনের সময় দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হওয়ার পর আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত রাখতে সৈয়দ আশরাফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এটি তাঁর সবচেয়ে বড় কীর্তি। সে সময় দলের প্রায় বেশির ভাগ নেতা শেখ হাসিনার বিপক্ষে অবস্থান নিলেও তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলীয় সভানেত্রীর কারামুক্তি এবং পরে দলের বিজয়ে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেন। পরে ২০০৯ এবং ২০১২ সালের সম্মেলনে তিনি পরপর দুবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর