শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফেসবুক গুগলকে করের আওতায় আনার তাগিদ

এনবিআরের প্রাকবাজেট আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিজিটাল প্ল্যাটফরম ফেসবুক ও গুগলসহ বিদেশি কোম্পানিগুলোকে করের আওতায় আনতে কঠোর হওয়ার তাগিদ দিয়েছে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি ব্যক্তি খাতের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লাখ টাকায় উন্নীত করা এবং কৃষিজাত ও নিত্যপণ্যের ওপর উৎসে কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব ভবনে কয়েকটি আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আয়োজিত এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব প্রস্তাব উঠে আসে। আলোচনায় অংশ নেয়  আইসিএসবি, আইসিএবি, আইএবি, বাংলাদেশ ভ্যাট প্রোফেশনাল ফোরাম, ইরনেস্ট অ্যান্ড ইয়ং অ্যাডভাইজারি সার্ভিসেস লিমিটেডের নেতারা। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে করের আওতায় আনতে স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগের বিধান প্রবর্তনেরও প্রস্তাব দিয়ে আইসিএমএবি প্রেসিডেন্ট মো. আবদুর রহমান খান বলেন, আয়কর আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে স্থায়ী অফিস না থাকলে কোনো বিদেশি কোম্পানিকে কর ধার্যের আওতায় আনার বিধান নেই। তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে স্থায়ী স্থাপনা না রেখে বিদেশি কোম্পানিগুলো ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে ব্যবসা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ভ্যাট আইনের মতো আয়কর আইনে স্থানীয় এজেন্ট নিয়োগের বিধান করা হলে বিদেশি কোম্পানি স্থানীয় এজেন্ট রাখবে ও তা তাদের বাংলাদেশের স্থানীয় স্থাপনা বলে বিবেচিত হবে।

এর ফলে তারা বাংলাদেশে অর্জিত আয়ের ওপর কর দিতে বাধ্য থাকবে।

এ ছাড়া ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ লাখ করার প্রস্তাব দিয়েছে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি)। সব ধরনের কৃষিজাত ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যকে উৎসে কর কর্তনের আওতা-বহির্র্ভূত রাখার প্রস্তাব করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট। নিত্যপণ্যের ওপর উৎসে কর প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাল-ডাল-আটা-ময়দাসহ সব কৃষিপণ্যে উৎসে কর ২ শতাংশ হারে কর্তনের বিধান রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলে তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়নের কাজ চলছে। তাড়াহুড়ো করে কোনো নীতি জনগণের ওপর না চাপিয়ে ধীরে ধীরে সহনীয়ভাবে পরিবর্তন আনায় বিশ্বাস করে এনবিআর।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর