শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিএনপিকে ব্যস্ত রেখে মাঠ গড়তে চায় আওয়ামী লীগ

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

বিএনপিকে ব্যস্ত রেখে মাঠ গড়তে চায় আওয়ামী লীগ

বিএনপিকে আন্দোলনে ব্যস্ত রেখেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। খুলনায় দলের সিনিয়র নেতারা সেভাবেই কাজ শুরু করেছেন। তৃণমূলে সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদার করতে সম্মেলনের মাধ্যমে স্থবির হয়ে যাওয়া কমিটি পুনর্গঠন ও বিরোধ কমিয়ে এনে নির্বাচনে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজপথে বিএনপির মোকাবিলায় নেতা-কর্মীদের সক্রিয় রাখা হচ্ছে। অপরদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা দাবিতে রাজপথে ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিএনপি নগরীতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে। এদিকে গতকাল লোয়ার যশোর রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সভা করে যুবলীগ। এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি খুলনায় বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ করলে পাল্টা শান্তি সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। বিশ্লেষকরা বলছেন, দাবি পূরণ না হলে আন্দোলনে ব্যস্ত বিএনপি শেষ পর্যন্ত সিটি করপোরেশন বা সংসদ নির্বাচনে নাও আসতে পারে। এলেও সুবিধা করতে পারবে না। এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায় সরকার। বিএনপির আন্দোলনের মধ্যেই ভোটের শতভাগ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘জনগণের ভোট নিয়েই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে চায়। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা নিতে চায় না। এ কারণে বিএনপি-জামায়াতের অরাজকতা বন্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আগামী নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিন কর্মসূচিতে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ।’ একইভাবে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ থাকলে অগ্রযাত্রাকে কেউ রোধ করতে পারবে না। কেন্দ্রের নির্দেশে তৃণমূলে এখন নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের অরাজকতা মোকাবিলায় রাজপথেও দল সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। তবে ১০ দফা দাবি মেনে নিলে কেন্দ্রের নির্দেশে যে কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সক্ষমতা বিএনপির রয়েছে জানিয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী মামলা মোকাবিলায় ব্যস্ত রয়েছেন। কিন্তু দলের সাংগঠনিক ভিত্তি এখনো অনেক মজবুত। যে কোনো সময় কেন্দ্রের নির্দেশে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারবে বিএনপি। মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, কর্মসূচিতে বাধা দিতে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, মামলা, নির্যাতন যত বাড়বে সরকার পতনের আন্দোলন ততই জোরদার হবে। উল্লেখ্য, সর্বশেষ ১৬ ফেব্রুয়ারি আট বছর পর খুলনায় দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে শেখ আবুল হোসেনকে সভাপতি ও বিনয় কৃষ্ণ রায়কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত করা হয়। সম্মেলনের প্রস্তুতি সভায় উপজেলা সভাপতি শেখ আবুল হোসেন ও উপজেলা চেয়ারম্যান খান মুনসুর আলীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটলেও কমিটিতে দুজনকেই জায়গা দেওয়া হয়েছে। সিনিয়র সহসভাপতি পদে শেখ যুবরাজ ও ১ নম্বর সদস্য হিসেবে সাবেক এমপি ননী গোপাল মন্ডল ও ২ নম্বর সদস্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মুনসুর আলীর নাম ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া নগরীতে ১৮, ১৯, ২১ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে জনসভার মধ্য দিয়ে সিটি করপোরেশন ও সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রচারণা চালানো হয়।

 

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর