তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বিএনপিপন্থিরা ব্যালট ছিনতাই করেছে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে বিএনপি দলীয় আইনজীবীরা যে ঘটনা ঘটিয়েছে, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে, বিচার বিভাগের ইতিহাসে, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে কালিমা লেপন করেছে।
মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলার সঞ্চালনায় সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ও আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম সভায় বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রথম নারী চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম, দেশের কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রথম নির্বাচিত নারী সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় কারাতে খেলোয়াড় মারজানা আক্তার প্রিয়া, প্রথম নারী মেট্রোরেল অপারেটর মরিয়ম আফিজা ও প্রথম নারী ট্রেন অপারেটর আসমা আক্তারকে সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনাদের মনে আছে, ইতিপূর্বে বিএনপির আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল। গতকাল তারা ব্যালট বাক্স এবং ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে। তারা আসলে প্রতিষ্ঠানকেই ধ্বংস করতে চায়। কোনো প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলুক সেটি তারা চায় না। তিনি বলেন, বিএনপি জানে যে, তারা ঢাকা বার নির্বাচনে হেরেছে। সেখানে হারার পর তারা বুঝতে পেরেছে যে সুপ্রিম কোর্টে তাদের হার নিশ্চিত। সে কারণে তারা প্রথমে ভোট বর্জনের নাটক, পরে আবার ব্যালট পেপার ছিনতাই করল। সুতরাং এভাবে তারা সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে চায়। তারা আগামী নির্বাচনকেও বাধাগ্রস্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে নির্বাচন কারও জন্য থেমে থাকবে না, ২০১৪ সালে যেমন কারও জন্য থেমে থাকে নাই, ২০১৮ সালের নির্বাচনও কারও জন্য থেমে থাকে নাই। আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে যে নির্বাচন কিংবা এ বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনও কারও জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতা তারেক রহমান নির্বাচন চায় না, বেগম খালেদা জিয়াও নির্বাচন চায় না। কারণ তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তবে বিএনপির অনেক নেতা নির্বাচন চায়। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও আমি বলতে পারি তাদের নেতারা নির্বাচন করবে। সুতরাং নির্বাচন সবাইকে নিয়েই হবে।