শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

রমজানের আগেই বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ, সবজির বাজারও চড়া

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

রমজানের আগেই বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ, সবজির বাজারও চড়া

চট্টগ্রামে কয়েক সপ্তাহ স্থিতিশীল থাকার পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে পিঁয়াজের দাম। পিঁয়াজ আমদানি কমে যাওয়ার কারণে দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া বাজারে আসা গ্রীষ্মকালীন সবজির দামও বেশ চড়া। এখন থেকে বাড়তে শুরু করেছে রমজানে ব্যবহার হওয়া বেগুন, লেবুসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। জানা যায়, গত তিন দিনে পাইকারি বাজারে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৪ টাকা। ভারতীয় পিঁয়াজ মানভেদে পাইকারি বাজারে ২৪ থেকে ২৬ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে ৩২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি গত সপ্তাহে দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৫ থেকে ১৬ টাকায়। বর্তমানে দেশি পিঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকায়। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পিঁয়াজ আসার পরিমাণ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এদিকে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খুচরা সয়াবিন তেল ১৯০ থেকে ১৯২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল খুচরায় ১৮৬ টাকা ও পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি পলিব্যাগ লিটারপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। বহদ্দারহাট-বাদুরতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। তাই ভোজ্যতেল প্রতি মণে ২০০ টাকা করে বেড়েছে। পাশাপাশি গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ায় পরিশোধন ব্যয়ও বেড়েছে। এ অবস্থায় আমদানিকারকরা আমাদের যে দামে তেল সরবরাহ করছেন, আমরা সে দামেই বিক্রি করছি। সামনে রোজার শুরুতে সব পণ্যের দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সামনে আসছে পবিত্র মাহে রমজান। রমজানে বেগুন, ছোলা, ডাল, মরিচ, লেবুসহ বেশকিছু নিত্যপণ্যের চাহিদা থাকে বেশি। আর এ সময়টাকে পুঁজি করে এখন থেকে বাড়তে শুরু করেছে এসব পণ্যের দাম। রমজান আসার আগেই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে ৮৫ টাকা আর খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়। দেশি মসুর ডালের কেজিতে দুই টাকা বেড়ে ১২০ টাকা, খেসারির ডালে চার টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খেজুর প্রকারভেদে ১৮০-৫০০ টাকা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, গাজর ও শসা কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে এখন ৫০-৬০ টাকা, লেবু মানভেদে প্রতি হালি ৪০-৬০ টাকা।

এদিকে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন সবজি। নগরের কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ঢেঁড়শ ও তিত করলা ১১০ টাকা, লতি ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ঝিঙা ১২০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, গাজর ও বাঁধাকপি ৩০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৩০ টাকা, টমেটো ও আলু ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি, বেগুন ও শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। প্রতি কেজি রুই ২৮০, কাতলা ৩০০, তেলাপিয়া ২২০, লইট্যা ২২০, পাঙ্গাশ ২০০, পাবদা ৫৫০, পোয়া ৪০০, শোল ৮০০, চিংড়ি ১০০০-৮০০ ও শিং মাছ ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৬০, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায়। এ ছাড়া হাড়সহ গরুর মাংস ৭৫০ ও হাড় ছাড়া গরুর মাংস ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর