রবিবার, ২১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরে পরিদর্শিকা নিয়োগে অনিয়ম

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের পক্ষে বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন। 

সংবাদ সম্মেলনে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ড. সুফি সাগর সামস বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিদর্শিকা (প্রশিক্ষণার্থী) নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে ৯৭২ জন চাকরিপ্রত্যাশীকে অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে পাস করিয়ে নেয় খান মো. রেজাউল করিম পরিচালকের (প্রশাসন) নেতৃত্বে প্রশাসন ইউনিটের সিন্ডিকেট। এক্ষেত্রে তারা লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নোত্তর পদ্ধতি পরিবর্তন করে চুক্তিবদ্ধ চাকরিপ্রত্যাশীদের পাস করানোর জন্য টিক চিহ্ন পদ্ধতি চালু করে। এই অপকর্ম সম্পন্ন করতে চাকরিপ্রত্যাশী প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩-৪ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গত ১৩ এপ্রিল বেশ কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। ৯৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশির পরীক্ষার খাতায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের মাধ্যমে টিক মার্ক দেওয়া হয়েছে, যা বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হলে নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হবে। সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার এক ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী লুৎফুন নাহার দাবি করে বলেন, আমার পরীক্ষা শতভাগ ভালো হয়েছে। আমি পোষ্য কোটা ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকার পরও চাকরি পাইনি। সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সৈলাল দাস নামের তৃতীয় শ্রেণির এক কর্মচারী ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্টরা সাক্ষী দিতে রাজি হন না। এ জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের অনিয়মের অভিযোগ সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করতে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে তার পদ থেকে অপসারণ করে তদন্ত করা একান্ত আবশ্যক। অন্যথায়, সুষ্ঠু তদন্ত করা সম্ভব হয় না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর