বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা ভোটার আকৃষ্ট করতে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েই যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত গতকাল নগরীর নবগ্রাম রোডের দুই পাশে ১৫ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। তিনি নতুন বরিশাল বিনির্মাণ ও প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। গণসংযোগের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাংবাদিকদের বলেন, তিনি নির্বাচিত হতে পারলে বরিশালের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। সমস্যা মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। আমি মানুষের সেবা দিতে পারব। সর্বস্তরের জনগণ আমার সঙ্গে আছেন। ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম গতকাল নগরীর জিলা স্কুল মোড় থেকে সদর রোড পর্যন্ত গণসংযোগ করেন। মানুষের নৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বস্তিগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার আলো ছড়াতে হাতপাখায় ভোট চান তিনি। পরে সাংবাদিকদের মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, বরিশাল নগরীতে গত ৫২ বছরে যেসব উন্নয়ন হয়নি, তিনি সেগুলোকে অগ্রাধিকার দেবেন। খাল সংস্কার করবেন। ড্রেনেজ নির্মাণ করবেন। যানজট নিরসনে সড়ক সম্প্রসারণ, বিকল্প রাস্তা ও প্রয়োজন অনুযায়ী ওভার ব্রিজ নির্মাণ করবেন। বস্তিগুলোয় অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষার আলো ছড়াবেন।

বিএনপির প্রয়াত মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন গতকাল নগরীর নতুন বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। কামরুল আহসান রূপন সাংবাদিকদের বলেন, শহরে রাস্তাঘাট উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও মশক নিধন প্রয়োজন। জনগণের বড় চাওয়া- মেয়রকে সব সময় পাশে পাওয়া। রোদ-বৃষ্টি-ঝড় সব সময় জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু সীমিত প্রচারণা শুরু করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদারের কিছু পোস্টার দেখা গেলেও তার প্রচারণা এখনো দৃশ্যমান নয়। অন্য এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর তৎপরতা দেখা যায়নি। ১২ জুন বরিশাল সিটির ভোট।