নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, দেশের রিজার্ভে ধস নেমেছে, রপ্তানি কমেছে, অর্থনীতির সূচক নিম্নমুখী। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার এখন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। বিনা অনুমতিতে সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়ার ঘোষণা সরকারের দেউলিয়াত্বের প্রমাণ। গতকাল গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন। সভা সঞ্চালনা করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার।
আ স ম আবদুর রব বলেন, এই সরকার অবৈধ ও অসাংবিধানিক সরকার। একটা সংসদের মেয়াদ থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদের নির্বাচন করা অবৈধ। সরকার সারা বিশ্ব থেকে দেশ ও জনগণকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত বা চিকিৎসা করাতে হলে লড়াই করতে হবে। কৃষক শ্রমিক ছাত্র-যুবক সবাইকে এই সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে।
সাইফুল হক বলেন, সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ নিয়ে কথা বলে না। খাদ্য সংকট, পুষ্টি সংকটে জনগণকে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। উন্নয়নের নামে অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছে। ব্যাংকিং খাতে লুটপাট বাংলাদেশকে দেউলিয়া করে দিচ্ছে। অথচ এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ক্রমাগত উন্নয়নের বুলি আওড়াচ্ছেন। শেখ হাসিনাকে দ্রুত পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে। তাছাড়া উনাকে ন্যক্কারজনকভাবে বিদায় নিতে হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হতে পারে। ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা ব্যাংকিং খাতকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অর্থ পাচার করে এই দেশকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রকে একটি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত করেছে এই সরকার। আগামীতে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে হলে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ করতে হবে এবং নতুন গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
