বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই হয়েছে ২০ দিন। জাহাজে জিম্মি ২৩ বাংলাদেশি নাবিকের ফেরার প্রতীক্ষায় দিন গুনছে তাদের পরিবার। তবে অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হচ্ছে না। দুই-তিন দিন পর পর নাবিকদের সঙ্গে একবার কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন স্বজনরা। নাবিকরা বলছেন, জাহাজের সবাই সুস্থ ও নিরাপদ আছেন। এতেই প্রাণ ফিরছে স্বজনদের মাঝে। ঈদের আগেই প্রিয় মানুষটি পরিবারের মাঝে ফিরে আসবে এমন আশায় বুক বেঁধে আছে নাবিকদের মা, বাবা, স্ত্রী, সন্তান, ভাই-বোনেরা। এ ব্যাপারে জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, নাবিকদের মুক্ত করার জন্য সব ধরনের আলোচনা চলছে। ঈদের আগেই নাবিকদের জিম্মিদশার অবসান হবে বলে আমরা আশাবাদী।
জাহাজে থাকা আনোয়ারার বাসিন্দা নাবিক শামসুদ্দীন শিমুলের ভগ্নিপতি বদরুল হক বলেন, শামসুদ্দীনের সঙ্গে তিন দিন আগে কথা হয়েছে। সে সময় সে বলেছিল সবকিছু ঠিক আছে, শুধু পানির সমস্যা হচ্ছে। খাওয়ার কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আমরা সবাই আশায় আছি তার ফিরে আসার। আশা করছি ঈদের আগেই জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরতে পারবে। আরেক নাবিক লোহাগাড়ার বাসিন্দা মো. আশেকের পিতা মো. আকতার উদ্দীন বলেন, আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করছি তিনি যেন আমার সন্তানকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কয়েকবার কথা হয়েছে। মালিক পক্ষও যোগাযোগ রাখছে। আমরা আশা করছি ঈদের আগেই তারা মুক্ত হবে। সবাই দোয়া করছে, সবার দোয়া প্রয়োজন।
জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের ভাই আবদুন নুর খান আসিফ বলেন, মালিকপক্ষ থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে দ্রুত সব নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এখন আমরা ওই অপেক্ষায় আছি। প্রত্যাশা করছি আমাদের ভাইকে নিয়েই ঈদ উদযাপন করতে পারব।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। জাহাজে ২৩ নাবিক রয়েছেন, যাদের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। ২০ মার্চ দুপুরে জলদস্যুদের প্রথম ফোন পায় মালিকপক্ষ।
