চলতি বছরের মধ্যে গতকাল রংপুরে ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুরে অসহ্য তাপমাত্রায় জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এমন গরমে শিশুদের বাসার বাইরে অযথা না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বৈরী আবহাওয়ায় জ্বর-সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন রোগবালাই বেড়েছে।
নগরী ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় এমনিতে লোকজনের সমাগম ছিল কম। রাস্তাঘাট ছিল অনেকটা ফাঁকা। তারপরও বিশেষ কাজে যারা বাইরে বের হয়েছিলেন অনেকটাই অস্থির ছিল তাদের জীবন। রোদের তাপে সবার মাঝেই ছায়ার জন্য কাতরতা দেখা গেছে। অনেকে জুমার নামাজের পরে মসজিদের মেঝেতেই শুয়ে পড়ছেন স্বস্তি পেতে।
শ্রমজীবী আবুল কাসেমসহ কয়েকজন বলেন, প্রকৃতির আজ রুদ্ররূপ। খুব গরম পড়ছে, চলাফেরা ও কাজকর্ম করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। ছায়ায় দাঁড়িয়েও শরীর থেকে ঘাম বের হচ্ছে। সড়কের পাশে অটোরিকশা চালক আবদুল জলিল বলেন, নিচ থেকে আসছে সড়কের তাপ আর ওপর থেকে আসছে সূর্যের তাপ।
দুইয়ে মিলে জীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এমন গরম হলে সড়কে টেকাই মুশকিল। এদিকে গরমের প্রভাবে বিক্রি বেশি হচ্ছে কোল্ড ড্রিংকস, জুস ও স্যালাইন। এ ছাড়া তরমুজ, বাঙ্গি, তালের শাঁস ও ডাবের চাহিদাও বেড়েছে।
রংপুরে চলতি বছর গড় তাপমাত্রা ৩১ থেকে ৩৬ ডিগ্রির মধ্যেই উঠানামা করছিল। বৃষ্টিপাত বছরে স্বাভাবিক হলেও সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে আবহাওয়া রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে।
দেখা দেয় তাপপ্রবাহের। এ বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রংপুরে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গরমের প্রভাব বেড়েছে। সাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপে আবহাওয়ার তারতম্য হচ্ছে।
