চট্টগ্রামে বাড়ছে ডেঙ্গু। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে নতুন করে। তবে তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। আক্রান্ত কোনো রোগীর শারীরিক অবস্থা জটিল আকার ধারণ করেনি। কিন্তু গত বছরের ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনায় অনেকের মাঝে শঙ্কা এবং আতঙ্ক কাজ করছে। তাছাড়া, ডেঙ্গু সংক্রমণের এ সময়ে প্রতিরোধে মশক নিধন কর্মসূচি না থাকায় শঙ্কাটা বাড়ছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন, বুধবার আক্রান্ত হন ৮ জন এবং মঙ্গলবার আক্রান্ত হন ৬ জন। চট্টগ্রামে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় ৬৯ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে আক্রান্ত হয় ২৫ জন, মার্চে আক্রান্ত হয় ২৮ জন, এপ্রিলে ১৮ জন, মে মাসে ১৭ জন, জুন মাসে ৪১ জন, জুলাই মাসে ১৯৮ জন এবং আগস্ট মাসের গত আট দিনে আক্রান্ত হয় ৬০ জন। চলতি বছর মোট আক্রান্ত হন ৪৫৬ জন এবং মারা যান চারজন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। তবে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসকও আছেন। তবে সবাইকে ডেঙ্গু থেকে মুক্ত থাকতে অবশ্যই সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, এডিস মশার বংশ বিস্তারটা ঠেকাতে সবাইকে নিজের বাসা-বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। এডিস মশার বিস্তার না ঘটলে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার কমবে। বিশেষ করে যেসব জায়গায় এডিস মশা জন্মায় সেসব জায়গায় যাতে মশা জন্মাতে না পারে, সে ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।জানা যায়, চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২৩ সালে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি হয়েছিল ১৪ হাজার ৮৭ জন এবং মারা যান ১০৭ জন। ২০২২ সালে মোট আক্রান্ত হন ৫ হাজার ৪৪৫ জন এবং মারা যান ৪১ জন। ২০২১ সালে আক্রান্ত হয় ২২১ জন এবং মারা যান ৫ জন। প্রতি বছরেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু।