নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের মাস্টারপ্ল্যান পুনর্গঠন করা হচ্ছে। গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কেবলমাত্র আঞ্চলিক সংযোগের মাধ্যম হিসেবেই নয়, কৌশলগত ও ভূরাজনৈতিকভাবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের অবস্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের মাস্টারপ্ল্যান পুনর্গঠন করা হচ্ছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ইস্যুটি বিবেচনা করতে হবে। এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের ডকইয়ার্ড নির্মাণ করার পরিকল্পনার কথাও তিনি জানান। সরকার দেশের বন্দরগুলোর কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় ও গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ ব্যাপারে তিনি জাইকার কারিগরি সহায়তা প্রত্যাশা করেন।
উপদেষ্টা বলেন, বন্দরটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে তথা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হবে। বন্দরটি নির্মাণের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে চলমান রয়েছে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলে বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে বলে ড. এম সাখাওয়াত আশাবাদ ব্যক্ত করেন
। ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, বাংলাদেশ জাপানের বন্ধুরাষ্ট্র। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ ও অবকাঠামোসহ অন্যান্য সেক্টরের উন্নয়নে গত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে জাপান বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। জাপানের স্বেচ্ছাসেবীরা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল অবধি বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দুই দেশের মধ্যে সত্যিকারের বন্ধুত্ব রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে জাপান রাষ্ট্রদূত বলেন, জাইকা মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ কার্যক্রমকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। সবার সহযোগিতায় যথাসময়ে এ বন্দরের কার্যক্রম শেষ হবে বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙা শিল্পে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকালে জাপান দূতাবাস ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।