চট্টগ্রামের রাউজানের সাবেক এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং প্রায় ১০৯ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য উদঘাটন করে এ মামলা দায়ের করে দুদক। গতকাল দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে মামলাটি করেন প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর অনিয়ম-দুর্নীতির অনুসন্ধানে তার ২৪ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার ২৩২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১১ কোটি ৯৫ লাখ ২২ হাজার ৬০৭ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১২ কোটি ১৩ লাখ ৭ হাজার ৬২৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ। এর বিপরীতে তার কোনো দায়-দেনার তথ্য দুদক পায়নি।
কিন্তু আয়কর নথি পর্যালোচনায় দুদক ফজলে করিমের ১৮ কোটি ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬০ টাকার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পেয়েছে। আয়কর দেওয়া বৈধ সম্পদের চেয়ে তার অর্জিত সম্পদ ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৭৭২ টাকার বেশি পেয়েছে দুদক, যা তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জন এবং ভোগদখল করছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভারতে পালানোর পথে গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।