তামাকের ক্ষতি কমাতে বাস্তবসম্মত নীতি গ্রহণ করে সফলতা পেয়েছে নিউজিল্যান্ডসহ অনেক দেশ। কিন্তু দেশে এখনো এ ধরনের কোনো নীতি বা কৌশল নেই। ফলে কঠোর বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও যথাযথ বাস্তবায়ন ও অনুমোদনের অভাবে তামাক এখনো বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি কার্যকর ও বাস্তবসম্মত তামাক ক্ষতি হ্রাস নীতি প্রণয়ন জরুরি। গত সোমবার রাতে রাজধানীর হোটেল রেনেসাঁয় ‘পলিসি ফর প্রগ্রেস : টুয়ার্ডস হার্ম রিডাকশন ২.০’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ হার্ম রিডাকশন ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। আলোচনায় ওয়ার্ল্ড মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ডা. ডেলন হিউম্যান বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড বাস্তবভিত্তিক ও বৈজ্ঞানিক কৌশল গ্রহণ করে সফলভাবে ধূমপান কমিয়ে আনতে পেরেছে। মাত্র কয়েক বছরে দেশটিতে ধূমপানের হার প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে।’
বাংলাদেশ হার্ম রিডাকশন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ও চেয়ারম্যান এবং ‘টেল অব টু নেশনস’-এর অন্যতম লেখক ড. মো. শরিফুল ইসলাম দুলু বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের এ সাফল্যের মূল কারণ হলো তাদের বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি ও তামাক নিয়ন্ত্রণে ক্ষতি হ্রাস কৌশলের অন্তর্ভুক্তি। অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে থোলোস ফাউন্ডেশনের কনজিউমার বিষয়ক ডিরেক্টর টিমোথি অ্যান্ড্রুস বিকল্প তামাকজাত পণ্যগুলোর সঠিক নিয়ন্ত্রণ ও এ সংক্রান্ত নীতিমালা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আরও বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন জামান ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার হাসনাত আলম।