করোনাভাইরাসের থাবায় চীন ইতোমধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। দেশটিতে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে দেশটিতে। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, ইতালি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। চীনের বাইরে বিভিন্ন দেশে শতাধিক মানুষ মারা গেছেন।
তবে মহামারী রূপ নেয়া এই ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার পরাশর্ম দিয়েছে ইউনিসেফ। তীব্র গরমেই কি মুক্তি মিলবে করোনাভাইরাস থেকে? এই প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছে ইউনিসেফ। একটি নির্দেশিকা ও সতর্কীকরণ বার্তায় জাতিসংঘ শিশু তহবিল জানিয়েছে, ভাইরাসটি ২৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গরমের বেশি সহ্য করতে পারে না। এখানেই খানিকটা আশার আলো দেখছেন গবেষকরা। কারণ, এশিয়ার প্রায় সর্বত্র প্রবল গরম পড়তে চলেছে। মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকেই পারদ সূচক ২৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়ে যাবে। ক্রমে তা আরও বাড়বে। বিভিন্ন স্থানে কম বেশি ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে গরম।
এই উষ্ণতায় করোনাভাইরাসের বেঁচে থাকা সম্ভব নয় বলেই ইউনিসেফ রিপোর্টে উঠে এসেছে।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, গরমের সময় আইসক্রিম বা ঠাণ্ডা পানীয় খেলেই বিপদ। এর থেকে দূরে থাকতে হবে।
সেখানে বলা হয়েছে, সংক্রামিত ব্যক্তির থেকে ছড়ানো অন্য কারোর দেহের সংস্পর্শে বিশেষ করে হাতে মোটামুটি ১০ মিনিটের মতো জীবন্ত থাকে। ফলে হাত পরিছন্ন করা খুব দরকারি। এর জন্য সাবান ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া মাস্ক ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভাইরাসটি মূলত নাক-মুখ থেকেই ছড়ায় বেশি। আক্রান্ত ব্যক্তির সাধারণ সর্দি-জ্বর হয়। তারপর শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। এই অবস্থায় সেই ব্যক্তি থেকে কমবেশি ৩-৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা দরকার।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম