চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সকল চায়ের দোকান, ক্যারামবোর্ড ঘরসহ সকল আড্ডাখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় ১৩৮ জন বেড়ে হোম কেয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০৯ জনে।
গতকাল শনিবার এর সংখ্যা ছিল ৩৭১ জন।
তারা সবাই অষ্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ করিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা, কাতার, মালয়েশিয়া, সুদান ও ভারত থেকে এসেছেন। জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারণে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী।
তবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অনেকেই নির্দেশনা না মেনে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তারা বলছেন, বিমানবন্দরে তাদের তেমন কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় তারা বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন। কিন্তু রবিবার সকালে জেলা পুলিশ নিষেধ করায় তারা আর বাইরে যাবেন না বলেও জানান।
অন্যদিকে এলাকাবাসীকে সচেতন করতে বিদেশফেরত যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তাদের বাড়ির দেয়ালে লাল কালি দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন লিখে দিচ্ছেন। যাতে অন্যরা সাবধান ও সচেতন হয়।
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, চিকিৎসক-নার্সদের করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য ৯০০টি পিপিই এবং শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় কিটের জন্য চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছিল। এর বিপরীতে এখন পর্যন্ত মোট ৮০টি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সদর হাসপাতালের জন্য ২০টি, চার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য ৫টি করে ২০টি এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জন্য ৪০টি দেওয়া হয়েছে এবং আজ থেকেই এগুলোর ব্যবহার শুরু করেছেন চিকিৎসকরা।
এছাড়া করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ১০ বেডের এবং উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ৫ বেডের (কোভিড-১৯) আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন