করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে মাদারীপুরের শিবচরের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ প্রশাসনের কড়া নজরদাড়িতে রয়েছে। শিবচর পৌর বাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ ২টি ওয়ার্ড ও ২টি ইউনিয়নের ২ গ্রামের চারটিস্থানে ২৫০ জন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সার্বক্ষণিক মনিটারিং করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের চরম ঝুঁকিতে থাকা মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার চারটি এলাকার প্রায় ৭০ হাজার মানুষ আতঙ্কের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করছেন। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের হতে দেখা যাচ্ছে না। এলাকার রাস্তাগুলোতে প্রশাসন ও পুলিশের রয়েছে কড়া নজরদারি। ৪র্থ দিনের মতো বন্ধ রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান ছাড়াও বেশিরভাগ বাজার। শুধু ঐ চার এলাকায়ই নয় করোনা আতঙ্কে আশপাশের মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। চিহিৃত এলাকা ছাড়াও আশপাশের এলাকায় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরা টহল দিচ্ছেন। বাজারগুলোও স্বতস্ফুর্তভাবে জনশুন্য হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি শিবচর উপজেলায় ৬ শ ৮৪ প্রবাসী ইটালীসহ বিভিন্ন দেশ থেকে জেলায় সাড়ে ৩ হাজার প্রবাসী প্রবেশ করে। চার দিন ধরে উপজেলার সকল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। জন সচেতনতা বাড়ায় জনশুন্য হয়ে পড়েছে বাজার ঘাট।
মাদারীপুরে করোনা ভাইরাসে মোট ২৯৮ জন কোয়ারেন্টিনে আছে। যার মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে ২৯৫ জন এবং হাসপাতালের কোয়ারেন্টিনে আছে ৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে হোম কোয়ারেন্টিনে আছে ৫৫ জন। সদর হাসপাতালের আইসলেশনে আছে ৩ জন। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিন থেকে রিলিজ পেয়েছেন ২৬১ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন অফিস।
এদিকে প্রবাসীদের আনাগোনা হওয়ায় মাদারীপুরে ফাস্টফুড ও চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট বন্ধ করেছে দিয়েছে মালিকপক্ষ। জেলার সকল বিনোদন কেন্দ্রগুলো এখন মানুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া শহরের কাউকে ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়নি। রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় যানবাহনের সংখ্যাও অনেক কম। মানুষ চরম আতঙ্গের মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছে।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, শিবচরের ৭০ হাজারের অধিক মানুষকে আমরা নজরদাড়িতে রেখেছি। এ এলাকাগুলোর মানুষদের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা কারো বাজার লাগলে আমরা তাদের সহায়তা করবো। শুকনো খাবার দেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার