করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। পাশাপাশি এতে কেউ অনিচ্ছুক হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতারের দাবিও তুলেছে।
রবিবার ১৪ দলের পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের প্রশাসন, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন করোনাভাইরাস থেকে জনগণকে রক্ষা করতে। তাদের এই আন্তরিকতাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে আমাদের সম্পদ সীমিত, প্রশিক্ষিত লোকবলের অভাব ও কার্যক্ষেত্রে বাস্তবায়নও নানা কারণে বিলম্বিত হয়।
‘যেহেতু এখন জরুরি পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাই আতঙ্ক সৃষ্টিকারী এই রোগ প্রতিরোধে আমরা মনে করি অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্যোগ প্রতিরোধে গঠিত ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল পুনর্গঠিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সমন্বয় করে কাজ শুরু করা দরকার। কাজের সমন্বয় সাধনের জন্য এটা প্রয়োজন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষজ্ঞদের তথ্যানুযায়ী আগামী কয়েক সপ্তাহ দেশের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই রোগটি অন্য আক্রান্ত দেশের মতো আমাদের দেশেও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেটিকে মাথায় রেখে অবিলম্বে বিদেশফেরত সবাইকে যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া যাবে না। কেউ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে অনিচ্ছুক হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করতে হবে। একইসঙ্গে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত মেডিক্যাল টিম কাজে লাগান। জরুরি ভিত্তিতে চীন বা অন্য দেশ থেকে পিপিইসহ সব ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী এনে দেশের সব চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীকে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। একজন স্বাস্থ্যকর্মী যেন এর থেকে বাদ না পড়ে এবং তাদের সবাইকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন