করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে পৃথিবীর বাঘা বাঘা চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের রীতিমত গলদগর্ম অবস্থা। বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করা এ ভাইরাস প্রতিরোধের কোনো ভ্যাকসিন এখনো আবিস্কার হয়নি। ঠিক তখনই বহুল প্রতীক্ষিত করোনাভাইরাস প্রতিষেধক আবিস্কার করলেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার জালিয়া পাড়া এলাকার মনসুর আলী নামে এক ব্যক্তি। রীতিমত ফেসবুকে এই ওষুধ আবিস্কারের ঘোষণা দিয়ে চলছে বিক্রি। কার্যত এটি করোনা প্রতিষেধক নয়, কাশির সিরাপ।
সোমবার দুপুরে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন অভিযান পরিচালনা করে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে নিজের অপরাধের কথা স্বীকারও করেন।
জানা যায়, গত ১৯ মার্চ ফেসবুকে করোনা মুক্তির ভেষজ ওষুধ বিক্রির একটি পোস্ট দেন মনসুর আলী। সেখানে যোগাযোগের নম্বর দিয়ে নিজের ওষুধ আবিস্কারের প্রচারণাও চালাচ্ছিলেন তিনি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতুহল শুরু হয়। দুপুরে ক্রেতা সেজে পোস্টদাতা মনসুর আলীকে ফোন করেন ইউএনও। তখন তিনি জানান, ‘করোনা থেকে মুক্তি পেতে তার ভেষজ ওষুধ খেতে হবে ১২০ দিন। প্রতি ফাইলের মূল্য ৩০০ টাকা করে।’ এরপর তাকে আটক করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো যখন করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিস্কারে হন্য হয়ে আছে, তখন একজন কাশির ভেষজ ওষুধকে করোনার ওষুধ বলে বিক্রি করছে। এটি প্রতারণা। খবর পেয়ে ছদ্মবেশে তার কাছ থেকে ওষুধ কিনতে যাই। তিনি তিনশ টাকায় ১২০ দিন সেবনের পরামর্শ দিয়ে আমাকে দুই বোতল ওষুধ দেন। বোতলের লেভেল দেখে বুঝলাম এগুলো কাশির সিরাপ। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি প্রতারণার কথা স্বীকার করেন। তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল