কনোনায় আক্রান্ত হয়ে নয়, ডায়াবেটিস ও কিডনি সমস্যা নিয়ে মাদারীপুরে কিশোর কুমার দাস (২৬) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশের মুখপাত্র এআইজি সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার রাত দেড়টার দিকে ঢাকায় কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত কিশোর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর গ্রামের কার্তিক দাসের ছেলে। তিনি মাদারীপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। কিশোর কুমার দাসের করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টি হয়।
শিবচর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন জানান, গত ৭ এপ্রিল লকডাউনে থাকা শিবচরে ডিউটি থাকা অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে ২৬ বছর বয়সী কনস্টেবল কিশোর। পরে সেখান থেকে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
করোনাভাইরাসের ঝুকির কারণে মাদারীপুরের শিবচরকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে এই এলাকায় পুলিশ একাধিক তল্লাসী চৌকি বসায়। সেখানেই দায়িত্বরত ছিলেন কিশোর।
পুলিশের মুখপাত্র এআইজি সোহেল রানা জানান, মাদারীপুরে পুলিশ সদস্য উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস ও কিডনী জনিত সমস্যায় মারা গিয়েছেন, করোনায় নয়। সমস্যাসমূহের কারণে প্রথমে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে, তারপর কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকায় চিকিৎসা প্রদান করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতবরণ করেন। করোনা সন্দেহ দূরীকরণের জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এতে রিপোর্টে নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া যায়। যথাযথ প্রক্রিয়ায় ধর্মীয় ভাব গম্ভীর্যের সাথে মৃত পুলিশ সদস্যের দাফন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল