উহানের ল্যাব থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে মারাত্মক করোনাভাইরাস। এমনটাই মনে করছে গোটা বিশ্ব। যা নিয়ে রীতিমত চাপ বাড়ছে বেইজিংয়ের উপর। এই পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে বেইজিংয়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে গোটা বিশ্বের প্রথমসারির একাধিক দেশ। আমেরিকা, ব্রিটেন, ইতালি ও জাপান। একের পর এক শক্তিশালী রাষ্ট্র চীনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির ইঙ্গিত দিয়েছে।
উহান থেকেই বিশ্বে ছড়িয়েছে মারণ করোনা, তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই অবস্থায় তার হুঁশিয়ারি, করোনাভাইরাস নিয়ে চীনের যোগসাজশ এবং মিথ্যাচার প্রমাণিত হলে চীনকে তার দায় নিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে চাপ বাড়ছে বেইজিংয়ের উপর। শুধু ট্রাম্পই নন, মার্কিন বিদেশসচিব দফায় দফায় হুমকি দিয়ে কখনও বলছেন, উহানের সেই ভাইরোলজি গবেষণাগারে মার্কিন বিজ্ঞানীদের প্রবেশাধিকার দিতে হবে। বিশ্ববাসী সত্যিটা জানতে চায়। আবার তিনি বলেছেন, চীন যতক্ষণ না স্বচ্ছভাবে জানাচ্ছে ঠিক কী হয়েছে, ততক্ষণ চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখা সমস্যা। ফলে প্রবল চাপের মুখে কমিউনিস্ট চীন।
অন্যদিকে, আমেরিকা, ফ্রান্সের পর চীনের দিকে আঙুল তোলা থেকে বাদ গেল না জার্মানিও। এবার অভিযোগ তুললেন জার্মান চান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কল। ভাইরাস কোথা থেকে এল, তা নিয়ে যে চীন তথ্য গোপন করছে, এমনটাই অভিযোগ তার। তিনি বলেন, চীন গোটা বিশ্বকে করোনাভাইরাস নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে। ভাইরাসের উৎস আর সংক্রমণ নিয়ে আরও বেশি স্বচ্ছ হওয়ার আবেদন তার।
উল্লেখ্য, বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই মুহূর্তে বিশ্বে ২৪,৭৯,৬৯১ জন আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ১,৭০,৩৭০ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬,৪৬,২৪৮ জন। করোনা সংক্রমণের মোকাবেলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে লকডাউন। রীতিমতো এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধের মাঠে লড়ছে সবাই। কিন্তু করোনার থাবায় সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আসা এখনও বাকি। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস। যখন বেশ কিছু দেশে ইতিমধ্যেই লকডাউন ও বিভিন্ন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে শুরু করেছে। ঠিক তখনই সাবধান করলেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক