গাজীপুরের কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এজন্যে গাজীপুর শহরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের ও হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এখানে শুরু হবে মরণঘাতী এ ভাইরাসের পরীক্ষা।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল জানান, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিষ্ঠিত কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল গত বৃহস্পতিবার হতে চালু হয়েছে। এখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। এখানে ১০০ শয্যা রয়েছে। এছাড়াও এ হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ শয্যা ও চারটি ভেন্টিলেটর রয়েছে। তবে মরণঘাতী করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য এখানে কোন ল্যাব না থাকায় চিকিৎসক ও রোগীসহ স্থানীয়দের নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গাজীপুরবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে গাজীপুরের এ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমার পক্ষ থেকে কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখেছেন।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলেছেন। গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে একটি অত্যাধুনিক পিসিআর ল্যাব রয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলার করতে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য ওই ল্যাবের পিসিআরসহ আনুসাঙ্গিক মেশিন ও যন্ত্রপাতি এ হাসপাতালে স্থাপনের জন্য অনুমোদন নিতে কৃষি মন্ত্রীর সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ইতিমধ্যে যোগাযোগ করে সম্মতি আদায় করেছেন। এছাড়াও করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে কেবিনেট এনে তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ল্যাব স্থাপনের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গাজীপুরের হাসপাতালে এ ল্যাব স্থাপন করা সম্ভব হবে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, পোশাক শিল্প মালিকদের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষার জন্য কয়েকটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি গাজীপুরের তেতুঁইবাড়িস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে এ ধরণের একটি ল্যাব স্থাপনের জন্য।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: খলিলুর রহমান জানান, এখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমন পজেটিভ রোগীদের ভর্তি করা হচ্ছে। তবে সুযোগ সুবিধা না থাকায় তাদের ফলো-আপ চিকিৎসার জন্য ঢাকার আইইডিসিআরে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। বর্তমানে এখানে শুধু কোভিড-১৯ রোগীদের সিমটোমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যেমন- শ্বাসকষ্ট, কাঁশি, জ্বর, ব্যথার মত রোগের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। করোনা লক্ষণ নিয়ে আসা রোগীদের নমুনা সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে অন্যত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখানে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ