করোনা (কোভিড-১৯) মহামারির শুরুর দিনগুলোতেই করোনা আক্রান্ত হন তিনি। এরপর টানা ৩০৬ দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছে তাকে। চলেছে চিকিৎসা। অবশেষে সুস্থ হয়েছেন তিনি। ফিরলেন নিজ বাড়িতে।
ঘটনা যুক্তরাজ্যের। দেশটির এক অবসরপ্রাপ্ত আইনজীবী ওই রোগী, নাম জোফ্রি উলফ। বয়স ৭৪ বছর। তিনি গত বৃহস্পতিবার নর্থ লন্ডনের হলোওয়েতে নিজের বাড়িতে ফিরেন।
গত বছরের ২৩ মার্চ তিনি অসুস্থ হন। তার ছেলেরা ৯৯৯ এ কল দেওয়ার পর ডাক্তাররা এসে তাকে দেখেন। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালে ছিলেন টানা ৩০৬ দিন।
দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, যতদিন তিনি হাসপাতালে কাটালেন, তা যেকোনো কোভিড রোগীর পক্ষে সর্বোচ্চ সময়কাল। তার অবস্থা এতটাই গুরুতর ছিল, গ্রীষ্মের সময় তার তিন ছেলেকে ডাকা হয়েছিল বাবাকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য। কিন্তু উলফের ছেলেরা বলেন, জুলাইয়ে ‘বাবা যেন হঠাৎ জেগে উঠলেন’।
ছাড়া পান হুইটিংটন হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট থেকে। এরপর তাকে লন্ডনের পাটনিতে অবস্থিত রয়্যাল হসপিটাল ফর নিউরো-ডিজ্যাবিলিটিতে ভর্তি করা হয়। করোনাভাইরাসের কারণে তার মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। ফলে তাকে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের আক্রমণে তার শরীরের একাংশ অবশ হয়ে গেছে এবং কথা বলার শক্তিও হারিয়েছেন।
ভাইরাসের বিরুদ্ধে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় ১২৭ দিন ধরে, যার মধ্যে ৬৭ দিন তিনি পার করেছেন ভেন্টিলেটরের মধ্যে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার সময়ের ফুটেজে দেখা যায় নিউরোলজিক্যাল পুনর্বাসনে যাওয়ার আগে তার প্রশংসা করছেন অনেকে।
করোনায় আক্রান্ত হবার আগে উলফ লন্ডনের সিটি লিট অ্যাডাল্ট এডুকেশন কলেজে আর্ট হিস্টোরি বিষয়ে একটি ডিগ্রি নেওয়ার জন্য অধ্যয়নরত ছিলেন। তিনি নিয়মিত জিমে যেতেন ও শরীরচর্চা করতেন। আর তার কোনো ধরনের বিশেষ শারীরিক সমস্যা ছিল না। তাই তার হঠাৎ এত অসুস্থ হয়ে পড়া যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত ছিল।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ