ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেস গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন সেন্টার ফর রিনিউঅ্যাবল এনার্জি সার্ভিসেস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি-এর ইইই বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ও সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ- এর পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী।
নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে শিক্ষা, গবেষণা, নেতৃত্ব এবং শিক্ষকতায় বিশেষ অবদান রাখায় তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার, ভারতের মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সপ্তম ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেসে ‘এডুকেশন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ ক্যাটাগরিতে তিনি এই অ্যাওয়ার্ড পান। সম্মাননা হিসেবে স্মারক ও সনদ গ্রহণ করেন তিনি। দেশে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাঁর বিভিন্ন অর্জনও মূল্যায়ন করা হয় এই অনুষ্ঠানে। সমাজের ইতিবাচক ও কল্যাণমূলক পরিবর্তনে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ওয়ার্ল্ড এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
পুরষ্কার গ্রহণ শেষে অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী বলেন, “এই সম্মাননা পেয়ে সত্যিই গর্বিত এবং আমি বিশ্বাস করি এই সম্মাননা আমাকে আগামীর পথ পাড়ি দিতে আরও দায়িত্বশীল করবে। আমার সকল সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ী এবং শিক্ষার্থীকে আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই”।
দুই দিনব্যাপী সপ্তম ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেস-এর প্রথম দিনের প্যানেল আলোচনায় ‘কোয়ালিটি এডুকেশন ফর অল’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী। এই আলোচনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য আরও অনেক বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করেন। ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরষ্কৃত করে আসছে ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেস। এ বছর ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা: সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা’ স্লোগান নিয়ে মুম্বাই শহরে এই আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, নবায়নযোগ্য শক্তি ও শিক্ষা খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিভিন্ন দেশি-বিদেশী পুরষ্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী। ২০১৬ সালে জার্মানিতে ‘আউটস্ট্যান্ডিং সোলার প্রোজেক্ট্স’ ক্যাটাগরিতে ‘ইন্টারসোলার অ্যাওয়ার্ড’ অজর্ন করেন তিনি। একই বছর দলনেতা ও প্রধান গবেষক হিসেবে তিনি জাতিসংঘের ‘ইউএন মোমেনটাম ফর চেঞ্জ ২০১৬ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন।
এছাড়াও ২০১৬ সালে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সপ্তাহে’ তিনি ‘ইন্টার-ইউনিভর্সিটি ইনোভেশন প্রোজেক্ট অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেন। বিভিন্ন পুরষ্কার ও সম্মাননার পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), বাংলাদেশ সরকার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গবেষণামূলক কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশে ১,৭০০ এরও বেশি ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ানকে সোলার পিভি প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। এছাড়াও তিনি দেশি-বিদেশী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন।
শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস কৌশলে স্নাতক করে পিডিবি’তে যোগ দেন। এরপর তিনি জার্মানিতে পড়তে যান। ২০০৭ সালে ফিরে আসেন দেশে, পিডিবির চাকরি ছেড়ে যোগ দেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। ২০০৯ সালে এখানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চালু হয় সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ। তিনি এই সেন্টার-এর পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। বর্তমানে সরকারের নবায়নযোগ্য শক্তির নীতিমালা প্রণয়নেও যুক্ত হয়েছেন শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান