জনস্বার্থ বিবেচনা করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) এবং বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথোরিটি (বিএফএসএ)-এর গৃহীত এনার্জি ড্রিংককে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং মান প্রণয়ন না করার সাহসী পদক্ষেপের সাথে একমত হয়ে স্বাগত জানাচ্ছে বাংলাদেশ বেভারেজ মেনুফ্যাকচারিং এসোসিয়েশন (বিবিএমএ)।
একই সাথে বিবিএমএ এটিও স্পষ্টভাবে জানাতে চায় যে, বিবিএমএ'র কোনো সদস্য প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই'র মান ব্যতিত কোনো পানীয় উৎপাদন বা বাজারজাত করছে না। সম্প্রতি কোমল পানীয় অর্থাৎ কার্বনেটেড সফ্ট ড্রিংকস নিয়ে জনমনে কিছু ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। অনেকেই ভুল করে কার্বনেটেড সফ্ট ড্রিংকসকে অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, সংগঠনের সকল সদস্য বিএসটিআই'র মান ‘বিডিএস ১১২৩’অনুযায়ী কার্বনেটেড বেভারেজ প্রস্তুত করছে এবং তা সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ।
বাংলাদেশে বিভিন্ন পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে একমাত্র সরকারি সংস্থা বিএসটিআই। প্রতিষ্ঠানটি পণ্যের যথাযথ মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই মান নিয়ন্ত্রণ ও প্রদান করে থাকে। দেশের মান নিয়ন্ত্রণ এই সংস্থার প্রতি দেশের জনগণ হিসেবে প্রত্যেকেরই আস্থা থাকা প্রয়োজন। এনার্জি ড্রিংক বিষয়ে বিএসটিআই যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা প্রতিষ্ঠানটির একক কোনো সিদ্ধান্ত নয়। এ বিষয়ে জনগণ, ইন্ডাস্ট্রি ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে গণশুনানির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয় বিএসটিআই এবং দেশের মানুষের স্বার্থ বিবেচনায় বিবিএমএ সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিএফএসএ'র পদক্ষেপও প্রশংসার দাবি রাখে।
বিবিএমএ'র সদস্যভুক্ত দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর রয়েছে একটি সুবিশাল বাজার। এই বাজারে লাখো মানুষের যেমন কর্মসংস্থান রয়েছে তেমনি রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের বিশাল রাজস্ব আয়। এক্ষেত্রে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ বেভারেজ আমদানী ও বিক্রয় করা হয় এবং বিএসটিআই দ্বারা এসব পণ্যের মান নির্ধারণের কোনো সুযোগ নেই। লক্ষ করা যাচ্ছে যে, এসব আমদানীকৃত পণ্যের সাথে দেশে উৎপাদিত মানসম্মত পণ্যকে একই মাণদণ্ডে বিচার করায় জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিবিএমএ'র সাধারণ সম্পাদক জনাব সেখ শামীম উদ্দীন বলেন, “জনমানুষের মধ্যে দেশে উৎপাদিত বেভারেজ নিয়ে সঠিক তথ্য না পৌঁছানোর কারণে এই বিশাল বাজারটি যেকোনো সময় হুমকির মুখে পড়তে পারে। লাখো কর্মক্ষম মানুষেরা যেকোনো সময় বেকার হয়ে যেতে পারেন। দেশ ও জনগণের স্বার্থে তাই বেভারেজ সম্পর্কিত সঠিক তথ্য উপস্থাপন এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্যই বিবিএমএ-এর পক্ষ থেকে আমরা সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে জনমানুষের বিভ্রান্তি দূর করতে এবং বিকাশমান এই শিল্পকে আরও এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করুন”।
বিবিএমএ'র সভাপতি জনাব হারুন অর রশীদ বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বিশ্বের দরবারে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এই যাত্রায় বেভারেজ শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বিবিএমএ-এর উৎপাদিত পণ্যসমূহ বর্তমানে ৯০টিরও বেশি দেশে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। বেভারেজ শিল্পের এই অগ্রযাত্রায় আপনাদের সবারই অবদান রয়েছে এবং আপনারা এই সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখবেন এটিই আমাদের কাম্য”।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর