জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘ফীডব্যাক’ উদযাপন করতে যাচ্ছে তাদের পথচলার চার দশক। এ উপলক্ষে আগামী ৩০ এপ্রিল রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে আয়োজন করা হয়েছে জমজমাট কনসার্ট ‘ফোর ডিকেডস অব ফীডব্যাক’।
এ আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ গ্রুপ। বুধবার রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
চার দশকের দীর্ঘ সময়ে ফীডব্যাকের লাইনআপ অলংকৃত করে থাকা সকল সদস্য এই মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করবেন। কনসার্টে আবারও ফীডব্যাকের জনপ্রিয় সব গান গাইবেন দলের সাবেক সদস্য ও মিউজিকের লিজেন্ড আইকন মাকসুদ। এই আয়োজনে আরও অংশ নিচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড দল মাইলস, আর্টসেল, ওয়ারফেজ ও দলছুট, যারা ফীডব্যাকের জনপ্রিয় সব গানের মাধ্যমে কনসার্ট মাতাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফীডব্যাকের সদস্য ফুয়াদ নাসের বাবু, লাবু রহমান ও সাবেক সদস্য মাকসুদুল হক উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাণ গ্রুপের হেড অব কর্পোরেট ব্র্যান্ড নুরুল আফসার, কনসার্টের ডিজিটাল পার্টনার বাংলা লিংকের ব্র্যান্ড ও কমিউনিকেশন ডিরেক্টর কাজী উরফি আহমেদ ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠান ‘এ ফর অ্যাকশন’ এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এসএম শামসুর রহমান।
আয়োজন নিয়ে ফুয়াদ নাসের বাবু বলেন, “দীর্ঘ চার দশকের যাত্রা উপলক্ষে এই আয়োজনে ফীডব্যাকের সকল সদস্য এক হতে যাচ্ছে। আমরা আবার একসাথে গান করবো, এটা ভাবতেই আমি অত্যন্ত আনন্দিত বোধ করছি”।
নুরুল আফসার বলেন, “ফীডব্যাকের অসংখ্য গান শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়। ফীডব্যাকের ৪০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত”।
‘ফোর ডিকেডস অব ফীডব্যাক’ কনসার্ট বসুন্ধরা কনভেনশন সিটির ৩ নম্বর হলে অনুষ্ঠিত হবে। এই মিলনমেলায় যোগ দিতেwww.shohoz.com এর মাধ্যমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বিস্তারিত জানা যাবে '4 decades of Feedback' টাইটেলের ফেসবুক পেইজে।
১৯৭৮ সালে কয়েকজন সংগীতপ্রেমী তরুণের হাত ধরে শুরু হয় ব্যান্ড ফীডব্যাকের যাত্রা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলা ব্যান্ড মিউজিককে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয় যে ব্যান্ডগুলো, তার মধ্যে একটি ফিডব্যাক। একটি লম্বা সময় ধরে বাংলা পপ রককে সমৃদ্ধ করে তোলা এই ব্যান্ডের বিভিন্ন গুনী শিল্পীরা তাদের প্রতিভা দেখিয়েছেন। প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে সবার মনে দোলা দিয়ে যাওয়া ফীডব্যাকের সেই ‘মেলায় যাইরে’ গানটি আজও সংগীত প্রেমীদের মনে বিশেষ জায়গা দখল করে আছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
