আগামী ২৫ জানুয়ারি (শনিবার) এসএমসি’র পথচলার ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপনের লক্ষে প্রতিষ্ঠানটি সপ্তাহব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করছে। এ উপলক্ষ্যে এসএমসি’র প্রধান কার্যালয়ে বুধবার মিডিয়া ব্রিফিং-এর আয়োজন করা হয়েছিল।
মিডিয়া ব্রিফিং-এ উপস্থিত ছিলেন এসএমসি ও এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লি. এর চেয়ারম্যান ওয়ালিউল ইসলাম, এসএমসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তছলিম উদ্দিন খান, এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েফ নাসির এবং এসএমসি ও এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিঃ এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসএমসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তছলিম উদ্দিন খান বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এসএমসি সাফল্যের সাথে ৫০ বছরের পথচলা পূর্ণ করেছে। এ বিশেষ দিনটি দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য গর্বের এবং আনন্দের। এটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে এসএমসি’র নিরলস প্রচেষ্টার ফসল। বাংলাদেশ সরকার, ইউএসএআইডি, মিডিয়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শুভানুধ্যায়ী এবং এসএমসি’র পণ্য ও সেবাগ্রহীতা এবং সর্বোপরি সম্মানিত গ্রাহকদেরকে এসএমসি পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিবাদন ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। খান বলেছেন, বিভিন্ন উদ্ভাবনী পণ্যের বিপণন ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি গত পাঁচ দশকে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে। সকল অংশীজনের নিরলস প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে এখন পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। দেশের আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির প্রায় অর্ধেক ব্যবহারকারী এসএমসি ব্র্যান্ডের গর্ভনিরোধক পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে। আশির দশকে ডায়রিয়া ছিল শিশুমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। এসএমসি নিজ ব্রান্ডের ওরস্যালাইন দেশজুড়ে সহজলভ্য করেছে। ফলে ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে এসএমসি মা, শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্যে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সায়েফ নাসির বলেছেন, এসএমসি ২০১৪ সালে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিঃ নামে একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান গঠন করে যার উদ্দেশ্য ছিল সমাজের নারী, শিশু ও পরিবারের সবার জন্য একটি টেকসই জনস্বাস্থ্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা। স্বাস্থ্য কর্মসূচি বাস্তবায়নের পাশাপাশি এসএমসি বিভিন্ন ধরণের জনস্বাস্থ্য পণ্য বাজারজাত করছে। এগুলোর মধ্যে ওরাল স্যালাইন, শিশু পুষ্টি পাউডার, ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক, কৃমিনাশক ট্যাবলেট, স্যানিটারি ন্যাপকিন, বেবি ডায়াপার, ফর্টিফাইড বিস্কুট অন্যতম।
সবশেষে, এসএমসি ও এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিঃ এর চেয়ারম্যান ওয়ালিউল ইসলাম বলেছেন, এসএমসি’র সাফল্যের মূলে রয়েছে সুষ্ঠু প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টা, কৌশলগত পরিকল্পনা, এবং সরকার ও উন্নয়ন অংশীজনদের সহযোগিতা। এসএমসি তার সাফল্যকে পাথেয় করে আগামী বছরগুলোতেও কর্মসূচি সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের নারী, শিশু এবং পরিবারের জীবনমান উন্নয়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। এদেশের মানুষের কল্যাণে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবিচলভাবে এসএমসি কাজ করে যাবে সকল অংশীজনের সহযোগিতা ও ভালোবাসা নিয়ে।
অনুষ্ঠান শেষে ‘পঞ্চাশের উচ্চাসে, একসাথে আগামীতে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এসএমসি’র ৫০ বছর পূর্তির লোগো উন্মোচন করা হয়। এসময় এসএমসি ও এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লি. এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম