বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কলাপাড়ায় তিন শতাধিক পর্যটক নিয়ে ফেরিডুবি

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে ফেরার পথে আন্ধারমানিক নদী পার হওয়ার সময় তিন শতাধিক পর্যটক নিয়ে মাঝনদীতে একটি ফেরি ডুবে গেছে। গত রাত ১০টার দিকে ফেরিঘাট থেকে কয়েকশ’ ফুট দূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎ?ক্ষণিকভাবে কোনো পর্যটক নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফেরিটি ডুবে যাওয়া শুরু করলে পর্যটকদের চিত্কারে নদীর দুই পাশে শত শত মানুষ জড়ো হয়। অন্তত ৫০ জন পর্যটক নদীতে লাফিয়ে পড়ে সাঁতরে তীরে ওঠেন। স্থানীয় লোকজন পাঁচ-সাতটি নৌকা ও ট্রলার নিয়ে তৎ?ক্ষণাৎ উদ্ধার তৎ?পরতা শুরু করেন। তারা ফেরিতে আটকে পড়া অন্তত ৫০ পর্যটককে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তত্পরতা শুরু করেছে। তখনো ফেরিতে চারটি যাত্রীবাহী বাস, তিনটি মাইক্রোবাসের শখানেক যাত্রী আটকে ছিলেন। কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘ডুবতে থাকা ফেরিটিকে টেনে চড়ায় ওঠাতে পেরেছি এবং সেচ পাম্প লাগিয়ে পানি সেচে ফেরিটিকে ভাসিয়ে ঘাটে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। ফেরিতে অতিরিক্ত যানবাহন ওঠানোর কারণে তলদেশ ফেটে দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ উদ্ধার হওয়া যাত্রী খুলনার দৌলতপুরের শাহনাজ পারভিন বলেন, ‘৫৩ জনের একটি দল নিয়ে আমরা কুয়াকাটায় বনভোজনে গিয়েছিলাম। ফেরিতে এমনিতেই অতিরিক্ত যানবাহন ছিল। এর পরও ধানবোঝাই একটি ট্রাক এসে ওঠে। অতিরিক্ত পরিবহনসহ যাত্রীদের নিয়ে ফেরি ছেড়ে নদীর অন্য পাড়ে যাওয়ার সময় আমরা মাঝনদীতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ি।’

গোপালগঞ্জের সুশীল শাঁখারী বলেন, ‘আমরা দলের ৬০ জন সদস্য গাড়িতেই বসে ছিলাম। চিত্কার-চেঁচামেচি শুনে গাড়ি থেকে নেমে দেখি ফেরিটি ডুবে যাচ্ছে। ভয়ে আমরা ১৫ থেকে ২০ জন নদীতে লাফ দিয়ে সাঁতরে তীরে উঠি। বাকি সবাইকে স্থানীয়রা উদ্ধার করেছেন।’ ফেরির চালক আবদুল ওহাব বলেন, ‘ফেরিটি আগে থেকেই নড়বড়ে ছিল। আমরা নিষেধ করলেও ধানবোঝাই ট্রাকটি জোর করে উঠে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা হয়েছে। ফেরিতে ৩০০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন।’ কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ফেরি থেকে যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আশা করি রাতের মধ্যে যাত্রীদের উদ্ধার করে যার যার গন্তব্যে পাঠাতে পারব।’

সর্বশেষ খবর