বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ না করায় বাড়িঘরে হামলা লুট

ইউপি নির্বাচনের জের

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় কুষ্টিয়ার একটি গ্রামে গত কয়েকদিনে ১৫/২০টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কেরামত আলীর লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত কেরামত আলী বলেন, ‘হামলার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি নিজেও আওয়ামী লীগ নেতা। নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছি এটা ঠিক। তবে নেতাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো।’ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজন জানান, কয়েক মাস আগে শেষ হওয়া ইউপি নির্বাচনে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান বখতিয়ার হোসেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন কেরামত আলী। নির্বাচনে কেরামত আলী জয়ী হন। এলাকার যেসব লোক বখতিয়ারকে সমর্থন দিয়ে নৌকার নির্বাচন করেছেন তাদের ওপর এখন চলছে নির্যাতন। প্রতিনিয়ত হামলার ঘটনা ঘটছে এলাকায়। সর্বশেষ গত সোমবার দিবাগত রাতে চেয়ারম্যানের কয়েক শ’ সমর্থক আলীনগরসহ কয়েকটি গ্রামে হামলা চালায়। স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী তৈয়ব আলী জানান, রাত ১টার দিকে হঠাৎ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় চেয়ারম্যানের লোকজন। তার দোকানে ভাঙচুর করে সব মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। তাদের তিন ভাইয়ের বাড়ির সব টিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কেটে দেওয়া হয়েছে। আবার হামলা হবে বলে তারা জানতে পেরেছেন। আলীনগরের পাশে চাঁপাইগাছি বিল গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৩০টি বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। বেশির ভাগ বাড়ির টিন কুপিয়ে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে হামলাকারীরা।

আলীনগর গ্রামের আইয়ুব আলী ও নায়েব আলী জানান, ইউপি নির্বাচনে তাদের এলাকার মানুষ কেরামতকে ভোট না দিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বখতিয়ারকে ভোট দেয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় কেরামত ও তার ক্যাডারবাহিনী। ভোটের পর প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। ঝাউদিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ দিলিপের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা করছে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে দুপক্ষে মারামারি চলে আসছে। এটা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়।

সর্বশেষ খবর