শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন

চলছে নানা হিসাব-নিকাশ

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির রুমান ৫৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পেয়েছেন মাত্র ১৭৬ ভোট। জেলায় মোট ভোটার ছিল ৭৪২ জন। এর মধ্যে ৭৪১ জন ভোট প্রদান করেন এবং ২টি ভোট বাতিল হয়। ভোট থেকে বিরত থাকেন একজন ভোটার। ভোটের পার্থক্য নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। দলের প্রবীণ নেতা সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান বলেছেন, এই যুবকের বিজয় শেরপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য প্রয়োজন ছিল। এখানে এক নেতার কথায় সব চলে। ভোটাররা এখানে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে বিজয়ী করেছে।  জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ইলিয়াছ উদ্দিন জানিয়েছেন একজন চিহ্নিত নেতার হিংসার শিকার সবাই। ওই নেতার মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মতামত দেওয়ার সুযোগ ছিল বলেই ব্যালটের মাধ্যমে মানুষ জানিয়ে দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেছেন— দুজন একই দলের লোক। আর কোনো দলের প্রার্থী না থাকায় মানুষ সরাসরি আওয়ামী লীগকে ভোট না দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।  নির্বাচনের ২/৩ দিন আগে থেকে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে চলে আসে রুমানের নাম। দলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা-কর্মী প্রকাশ্যেই রুমানের পক্ষে অবস্থান নেন। আওয়ামী লীগের দুর্গ বলে খ্যাত ভোট কেন্দ্রগুলোতেও রুমানের সঙ্গে সরকারি দলের প্রার্থীর ভোটের পার্থক্য ছিল ৩-৪ গুণ। এদিকে নির্বাচনের দিন বিকাল থেকে দেশের সর্বকনিষ্ঠ ও ভোটের সংখ্যার  দিকে থেকে দ্বিতীয় সর্বাধিক ভোট পাওয়া এই জেলা চেয়ারম্যানের পৌর এলাকার মীরগঞ্জ এলাকার বাড়িতে নেমেছে মানুষের ঢল। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের ভাই যুবলীগ নেতা আলহাজ ইয়াবুব আলি জানিয়েছেন— মানুষের ভিড় প্রতিদিন বেড়েই চলছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর