রবিবার, ১২ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

কালনী-কুশিয়ারায় বিলীন জনপদ

নিস্ব দুই শতাধিক পরিবার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

কালনী-কুশিয়ারায় বিলীন জনপদ

আজমিরীগঞ্জে কালনী-কুশিয়ারা নদী ভাঙনের কবলে সৌলরী গ্রাম

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের মণিপুর গ্রামের বাসিন্দা হক মিয়া। প্রতিদিনের মতো পরিবার পরিজন নিয়ে রাতে বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ এক গভীর রাতে তার ঘরটি কালনি-কুশিয়ারা (ভেড়ামোহনা) নদীতে ধসে পড়ে। কোনোভাবে সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠেন পরিবারের পাঁচ সদস্য। প্রাণহানি না ঘটলেও ভেসে যায় বসতভিটা ও ঘরে থাকা আসবাবপত্র।

শুধু হক মিয়া নন। নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছেন কাকাইলছেও ইউপির সৌলরী, মণিপুর, বদরপুর, জয়নগর ঋষি হাটি, কাদিরপুর, নজরাকান্দা, সাহনগরসহ ১০টি গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার। যুগ যুগ ধরে এ অবস্থা চললেও ভাঙন থেকে গ্রামবাসীকে রক্ষায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শুধু বর্ষায়ই নয়, শুষ্ক মৌসুমেও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না এ সব এলাকার লোকজন। কালনী ও কুশিয়ারা নদী  কেবল বসতভিটাই গ্রাস করেনি, নিশ্চিহ্ন করেছে মসজিদ-মাদ্রাসাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে হবিগঞ্জে টানা তিনদিন বৃষ্টি হয়। ফলে বৃদ্ধি পায় বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। এতে আতঙ্ক দেখা দেয় কুশিয়ারা তীরবর্তী মানুষের মধ্যে। দেখা দেয় নতুন করে ভাঙন। বিলীন হয় বেশ কয়েকটি বসতঘর। ভাঙনকবলিতরা জানান, কুশিয়ারার নির্মমতায় প্রতি বছরই শতাধিক পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকে এলাকা ছেড়েছেন। সম্প্রতি ভাঙনের কবলে পড়া অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের বাড়িতে।

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম জানান, আজমিরীগঞ্জ  উপজেলার সৌলরী এলাকা নদী ভাঙন রোধে জরিপ প্রকল্প শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব এলাকায় প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর