রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনার সার্টিফিকেট মিলছে ৫০০ টাকায়

বরগুনা প্রতিনিধি

করোনার সার্টিফিকেট মিলছে ৫০০ টাকায়

বরগুনার তালতলীতে ৫০০ টাকার বিনিময়ে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট। অনেকদিন ধরে একটি প্রতারক চক্র তালতলী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিকদের ৫০০ টাকার বিনিময়ে এ সার্টিফিকেট বিক্রি করে এলেও স্বাস্থ্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন কেউ বিষয়টি জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান। করোনাভাইরাসের কারণে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলায় একটি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রায় আট মাস বন্ধ থাকার পর জানুয়ারি মাসে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়, আর এ অল্প কিছু দিনে প্রায় ১ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। এসব শ্রমিককে করোনা টেস্ট করে কাজে ঢুকতে হয়। তালতলীর নিশানবাড়ীয়া চেয়ারম্যান বাজারের ইব্রাহিম শেখের ক¤িপউটর দোকান থেকে এ ভুয়া করোনা নিগেটিভ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করছেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ সার্টিফিকেট নিয়ে তারা যথারীতি কাজে যোগ দিচ্ছেন। তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা থাকলেও তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে না। প্রতারক চক্রের অন্যতম ইব্রাহিম শেখ উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার নামের একটি বাজারে ক¤িপউটারের দোকানে মেমোরি লোডের কাজ করেন। পাশাপাশি ফটোশপের কাজ, ফটোশপকে পুঁজি করে ভুয়া করোনার সার্টিফিকেট তৈরি করে ৫০০ টাকায় বিক্রি করে আসছেন। ইব্রাহিম শেখের কাছ থেকে ভুয়া করোনার সার্টিফিকেট ক্রয় করা এক ভুক্তভোগী মো. আউয়াল হোসন জানান, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরি নেওয়ার জন্য করোনা টেস্টের দরকার হয় কিন্তু আমি না বুঝে ৫০০ টাকা দিয়ে ভুয়া রিপোর্ট কিনেছিলাম। এ বিষয়ে ইব্রাহিম শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার  কাছে এলে টাকার বিনিময়ে করোনা টেস্টের রিপোর্ট তৈরি করে দেই। তালতলী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. ফায়জুর রহমান হিমেল বলেন, আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। একটি চক্র করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে প্রতারণা করছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তালতলীর ইউএনও (অতি.) আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, কম্পিউটারের দোকানে করোনার সার্টিফিকেট দেওয়াটা মূলত প্রতারণা।

তদন্তে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর