আমদানি কমের অজুহাতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে এবং স্থানীয় খুচরা বাজারে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। চার দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে কেজিতে বেড়েছে ৩-৪ টাকা। লকডাউনের মধ্যে হঠাৎ চালের বাজার অস্থির হওয়ায় বিপাকে হাকিমপুরসহ বিভিন্ন উপজেলার সাধারণ ক্রেতারা। চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে গত ১০ জানুয়ারি থেকে হিলি স্থলবন্দরসহ কয়েকটি বন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। আমদানি শুরুর প্রথমদিকে চালের বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়লেও প্রশাসনের নজরদারির অভাবে অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। রবিবার দুপুরে হিলি বাজারে দেখা যায়, বাজারে আমদানিকৃত সব ধরনের চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চার দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতিকেজি চালের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। স্বর্ণা-৫ জাতের চাল কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে আটাশ জাতের চাল ৪৮ টাকায়, কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে মিনিকেট। এছাড়াও সম্পা কাটারি জাতের চাল কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৭ টাকা কেজি দরে। এ সময় চাল কিনতে আসা ভ্যানচালক আলম হোসেনসহ কয়েকজন ক্রেতা জানান, করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন চলছে। ফলে রোজগার নেই। সব জিনিসের দামের সঙ্গে হঠাৎ চালের দাম বেড়েছে। কেজিতে ৩-৪ টাকা বেড়ে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছি। একটু সুযোগ পেলেই ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দেয়। আর কষ্ট ভোগ করতে হয় আমাদের। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ চালের বাজার মনিটরিং করলেই তো দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে। চট্টগ্রাম থেকে হিলি স্থলবন্দরে চাল কিনতে আসা রাকিব জানান, আমি গেল এক মাস থেকে হিলি স্থলবন্দর থেকে চাল কিনি। হঠাৎ করে প্রতিকেজি চালের দাম বন্দরেই ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। খুচরা চাল বিক্রেতা স্বপন বলেন, স্থলবন্দরে প্রতিকেজি চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা বেশি কিনতে হচ্ছে। বন্দর থেকে বেশি দামে কেনার সঙ্গে আবার চালগুলো আনার খরচ আছে। সবমিলিয়ে বেশি দামে কিনেছি, বেশি দামে বিক্রি করছি। এখানে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি। হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক ললিত কেসেরাসহ কয়েকজন সাংবাদিকদের জানান, চাল আমদানি আগের তুলনায় কমে গেছে। যে কারণে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে চাল আমদানি করতে না পারলে ২৫% শুল্কের বিপরীতে ৬০% শুল্ক দিয়ে চাল ্আমদানি করতে হবে। আর ৬০% শুল্ক দিয়ে চাল আমদানি করলে অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে। তাই আমরা চাল লোডিং কমিয়ে দিয়েছি। সরকার যদি চাল আমদানির সময়সীমা বাড়িয়ে দেয়, তাহলে চাল আমদানিও বাড়বে। সেই সঙ্গে বাজারে চালের দামও কমে আসবে।
শিরোনাম
- মালিককে ‘গুলি করল কুকুর’!
- বিহারের নির্বাচন শুরু থেকেই সুষ্ঠু ছিল না, অভিযোগ রাহুল গান্ধীর
- দিল্লি বিস্ফোরণের জেরে চার চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল
- দুই শতাধিক খাদ্যপণ্য থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
- বিবিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন ট্রাম্প
- মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
- আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
- প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
- বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কামিনী কৌশলের মৃত্যু
- খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
- শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর
- কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা
- প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
- মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
- কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
- পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
- মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ
- ‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?
অস্থির চালের বাজার
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর