মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

অতিবৃষ্টি ও পরিবহন সংকটে ক্ষতির মুখে সবজি চাষিরা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

অতিবৃষ্টি ও পরিবহন সংকটে ক্ষতির মুখে সবজি চাষিরা

করোনা সংক্রমণে সারা দেশে লকডাউনে পরিবহন সংকট এবং অতিবৃষ্টির প্রভাবে ক্ষতির মুখের পড়েছেন সবজি চাষিরা। করোনার এই সময়ে পরিবহন ও বৃষ্টির কারণে পণ্যের ক্রেতার চাহিদা না থাকায় এবং বিভিন্ন জাতের সবজিতে পোকার আক্রমণের পাশাপাশি পচন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় বিপাকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের কৃষকরা। বিশেষ করে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বর্ষাকালীন খরিপ-১ মৌসুমের ট্রিপল-১ জাতের ফুলকপি-বাঁধাকপি, পটোল ও বেগুনে পচন ধরেছে বলে জানিয়েছে কৃষকরা। সপ্তাহখানেক আগেও ফুলকপি ১০০০/১২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হলেও এখন ৭০০ টাকা মণ। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বীরগঞ্জ উপজেলায় এ বছর প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হেক্টর জমিতে বর্ষাকালীন ফুলকপি এবং ২.২৫ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি চাষ করা হয়েছে। সবজি চাষি বীরগঞ্জের সাতোর ইউপির দক্ষিণ প্রাণনগর গ্রামের মো. ইব্রাহিম জানান, এ বছর ২০ শতক জমিতে ফুলকপি আবাদ করেছি। যেহেতু এটি শীতকালীন সবজি। বৃষ্টি সহ্য করতে পারে না। তাই কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে ফলনে পচন ধরছে। করোনা এবং বৃষ্টিপাতের ফলে গ্রাহক না থাকায় দামও কমেছে। ফলে লাভ হওয়ার চেয়ে লোকসানের সম্ভাবনা বেশি। সবজি চাষি আহম্মদ আলী জুয়েল বলেন, পরিবহন সংকট এবং টানা বৃষ্টিতে সবজি নিয়ে কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। বিশেষ করে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাতে না পেরে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত। বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মো. আসাদুজ্জামান জানান, সবজি দ্রুত পচনশীল একটি পণ্য। তারপর বৈশ্বিক মহামারী করোনা এবং আবহাওয়ার বৈরিতা লেগে আছে। এরপরও কৃষি দফতরের সার্বিক সহযোগিতায় সবজি চাষ এখনো লাভজনক পণ্যে পরিণত হয়েছে।

ধারাবাহিকতা রক্ষায় গত দুই দিনের বৃষ্টিতে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে মাঠে রয়েছেন কৃষি দফতরের কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ খবর