কুষ্টিয়ায় একটি হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, দুজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার স্বর্ণের কারিগর ইমরান শেখ (২২) হত্যা মামলায় এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হচ্ছেন কুমারখালী উপজেলার দড়ি কোমর গ্রামের শহিদুর রহমান ওরফে পিরু মিঠুন। আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার মেহেদী হাসান জজ ও কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান। আদালত একই সঙ্গে আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন।
অন্যদিকে রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন নাহিদ হাসান, মুন্সি অনিক হাসান ওরফে ইমরান ও ওয়াদুদ ওরফে রাজু। যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তিন আসামিকেও বিজ্ঞ আদালত একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের করাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর ২০১৮ সালের ১৬ মার্চ সকালে কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের দৌড়গরিয়া গ্রামের একটি ভুট্টাখেত থেকে স্বর্ণের কারিগর ইমরান হোসেনের মস্তকবিহীন মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। নিহত ইমরান হোসেন দৌড়গরিয়া গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে।
এ ঘটনায় ২০ মার্চ নিহতের পিতা বাদশা শেখ আসামিদের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৩ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।