মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ছদ্মবেশে ছিনতাইকারী চক্রের সন্ধান পেয়েছে পিবিআই

গাজীপুর প্রতিনিধি

পাগল সেজে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ঘুরে বেড়িয়ে গাড়ির গতিরোধ করে মোটরসাইকেলসহ গাড়ি ও মালামাল ছিনতাই করে আসছিল একটি আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চক্র। শিল্প পুলিশের এক সদস্যকে আহত করে তার মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এ চক্রের সন্ধান পেয়েছে গাজীপুরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িত ওই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। গতকাল গাজীপুর পিবিআইর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বগুড়ার মো. রায়হান প্রামাণিক (২৭) এবং সিরাজগঞ্জের হাসমত আলী ওরফে আবুল হাশেম (৩৪)। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, গত বছরের ২৩ নভেম্বর রাত দেড়টার দিকে ডিউটি শেষে কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাকের নিউ লাইন ক্লথিং লি. কারখানা এলাকা হতে মোটরসাইকেলযোগে চক্রবর্তী বেক্সিমকো পুলিশ লাইনের দিকে যাচ্ছিলেন শিল্প পুলিশের সদস্য মো. ফারুক হোসেন। পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর বাজারের কাছে পৌঁছলে পাগলবেশে এক ব্যক্তি কাঠের ডাসা হাতে নিয়ে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে।

এ সময় পাশেই ওতপেতে থাকা অপর কয়েক ব্যক্তি রাম দা, ছুরি, ডেগারসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীকে ঘেরাও করে হাঁসুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং মারধর করতে থাকে। এতে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যান ফারুক। পরে তার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে চন্দ্রার দিকে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ফারুক। থানা পুলিশ প্রায় ১৫ দিন এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। কিন্তু ক্লুলেস এ মামলাটির কোনো রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পিবিআই গাজীপুর জেলাকে দেওয়া হয়। পিবিআইর তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত রায়হান ও হাসমতকে গ্রেফতার করেন। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেন গ্রেফতারকৃতরা। তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত রায়হান এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে রবিবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল ছিনতাই চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পাগলের বেশ ধরে কৌশলে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে চালককে মারপিট ও আঘাত করে ছিনতাই ও সেগুলো বিক্রি করে আসছিলেন। গ্রেফতারকৃতরা ইতিপূর্বে একই কৌশলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক মোটরসাইকেল ছিনতাই করে সেগুলো বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাগলের বেশে মোটরসাইকেল ছিনতাকারীর সন্ধান ও রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। 

 

 

সর্বশেষ খবর