মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

অচল সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

অচল সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করায় পরীক্ষা-ক্লাস বন্ধ হওয়ার পর প্রায় তিন মাস ধরে অচলাবস্থায় রয়েছে সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ। এতে কলেজে অধ্যয়নরত দুটি ব্যাচের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া কলেজটিতে রয়েছে শিক্ষক সংকট, বাজেট সংকট, ল্যাব সরঞ্জামাদি সংকট এবং সুপেয় পানিসহ নানা সংকট। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি বাতিলের পর থেকে স্বতন্ত্র অনুষদসহ বিভিন্ন দাবিতে টানা তিন মাস একাডেমিক ভবন তালাবদ্ধ করে, বিক্ষোভ ও মানববন্ধনসহ আন্দোলন করলেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলছেন, বিষয়টি নিরসনে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি। আর প্রাণিসম্পদ সচিব বলছেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। দ্রুত জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ অবস্থায় দ্রুত সমস্যা সমাধানে শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, প্রাণিসম্পদ বিভাগ নিয়ন্ত্রণাধীন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ হিসেবে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ হতে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার আজুগড়া এলাকায় সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। সে হিসেবে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভেটেরিনারি কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অ্যানিমেলস সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের একই লেভেল এবং অভিন্ন প্রশ্নপত্রে একই সময়সূচিতে পরীক্ষা হয়। কিন্তু শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ২২ জুলাই শুধু তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যনয়রত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করলেও সিরাজগঞ্জ ভেটেরিনারি কলেজের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষ বারবার ডিন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো সাড়া পায়নি। ফলে ভেটেরিনারি কলেজের প্রথম বিভাগ ও দ্বিতীয় বিভাগের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে শিক্ষার্থীদের অন্তত ছয় মাস পিছিয়ে পড়েছে। এ খবর জানার পরই ২৫ জুলাই শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ভবন ও অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে  আন্দোলনে নেমেছে। পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গত তিন মাস কলেজে কোনো ক্লাস বা কার্যক্রম চলছে না। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সমাধানে কেউ এগিয়ে আসছে না। এ অবস্থা আমাদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী এস এম ওলিউল্লাহ ও রিয়াদ হোসেন জানান, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা নোটিসে আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। এতে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম অন্তত এক বছর পিছিয়ে পড়েছে। আদৌ পরীক্ষা হবে কি না তা আমরা জানি না। তিন মাস ধরে ক্লাসসহ একাডেমিক সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আমাদের শিক্ষাজীবনের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর