মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

চার বছরেও চালু হয়নি গোপালগঞ্জ ট্রমা সেন্টার

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

চার বছরেও চালু হয়নি গোপালগঞ্জ ট্রমা সেন্টার

গোপালগঞ্জে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২০ শয্যার ট্রমা সেন্টার -বাংলাদেশ প্রতিদিন

গোপালগঞ্জে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২০ শয্যার ‘ট্রমা সেন্টার’ চার বছরেও চালু করা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ চার বছর ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে ট্রমা সেন্টার সেবা কার্যক্রম। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ জনগণসহ সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ, হতাশা। এ অবস্থায় একদিকে অযত্ন-অবহেলায় বিনষ্ট হচ্ছে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র। ট্রমা সেন্টার চালু না হলেও প্রায় দুই বছর আগে ক্রয় করা হয় ৫৬ লাখ টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র। যা এখন নষ্ট হওয়ার পথে। আবার এসব জিনিসপত্র পাহারা দেওয়ার জন্য আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ওই তিনজন যথাক্রমে ড্রাইভার, ওয়ার্ডবয় ও ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্টের পিছনে বেতন ভাতা বাবদ বছরে ৭ লাখ ২২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু ট্রমা সেন্টার এখনো চালু হয়নি। চালু না হওয়ায় এখানে দুর্ঘটনায় আহতরা কোনো চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। তাদের চিকিৎসা নিতে ঢাকা না হয় খুলনা যেতে হচ্ছে। অন্যদিকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দুর্ঘটনায় আহত স্থানীয় জনগণ।

জনবল নিয়োগের পরে ট্রমা সেন্টারটির সেবাকার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ও প্রকল্প পরিচালক। সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে ট্রমা সেন্টার নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে চার তলা বিশিষ্ট ট্রমা সেন্টার ভবনের কাজ শুরু হয়। ১১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। কবে নাগাদ নির্মিতব্য ট্রমা সেন্টারের সেবা কার্যক্রম চালু হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।

এখন অযত্ন-অবহেলায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে নির্মিত ভবনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র। ঘাস আর লতাপাতায় ঘিরে রেখেছে ট্রমা সেন্টারটিকে। সেখানে এখন মাদক সেবীদের আড্ডা হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে। সড়কে দুর্ঘটনায় হাড় ভাঙা রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা থেকে। এ অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে জেলার সচেতন মহলসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে। গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ও প্রকল্প পরিচালক ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, আমরা ট্রমা         সেন্টার চালু করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জনবল নিয়োগ দিলে ট্রমা সেন্টারটি দ্রুত চালু করা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর