বগুড়ার নন্দীগ্রামে সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন গ্রামে অজ্ঞাত রোগে প্রায় ৫০টি গরুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রতিদিন বেড়েই চলছে আক্রান্তের সংখ্যা। এতে আতঙ্কিত হয়ে অনেক কৃষক ও খামারি গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। দিশাহারা হয়ে পড়েছেন গ্রামের সাধারণ কৃষক ও খামারিরা। স্থানীয় কৃষক ও খামারিরা জানান, হঠাৎ করে গরুর মুখ দিয়ে লালা ঝরা শুরু হয়েছে।
গরু খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যেই গরুগুলো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। পশু চিকিৎসকরা ওষুধ ও ইনজেকশন দিলেও তা কোনো কাজে আসছে না। নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষক মনসুর হোসেন জানান, হঠাৎ আমার একটা গরু খওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এক দিন পর গরু মারা যায়। এরপরে আরও একটি গরুর মৃত্যু হয়। এতে আমার প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমাদের দুই গ্রামের ১২-১৩টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। বগুড়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আমি এ বিষয়টি শুনেছি। আমাদের চিকিৎসকরা নন্দীগ্রামের রোগাক্রান্ত পশুগুলো দেখে এসেছেন। পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে ওই রোগ সম্পর্কে।