ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অপরাধে পুলিশের হাতে আটক হন এক নারী। এরপর রাতেই ওই নারী জন্ম দেন কন্যাসন্তান। এমন ঘটনায় শহরজুড়ে আলোচনা চলছে। শিশু চুরির ঘটনায় পুলিশের হাতে আটক নারীর আম তানিয়া। তিনি সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের সিন্দুরা গ্রামের নিয়াজ আহাম্মদ লিটনের স্ত্রী। পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের ফরিদ মিয়ার স্ত্রী রেখা তিন দিন আগে সদর হাসপাতালে ছেলে সন্তান জন্ম দেন। বৃহস্পতিবার তানিয়া হাসপাতালে গাইনি ওয়ার্ডে এসে নিজেকে দানশীল ব্যক্তি পরিচয় দেন। এ সময় রেখার পাশে থাকা তার দাদিকে ওই নারী ৫০০ টাকা দিয়ে বলেন, ফল আনতে। তিনি নবজাতককে ডাক্তার দেখাতে হবে বলে তাকে কোলে নেন। রেখার ১১ বছরের বোনকেসহ নবজাতককে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান তানিয়া। এরপর কৌশলে রেখার বোনকে টয়লেটে পাঠিয়ে নবজাতক নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সদর উপজেলার সিন্দুরা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। চালিয়ে শিশুসহ তানিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রাতে সন্তান প্রসবের লক্ষ্মণ দেখা দিলে পুলিশ জানতে পারে তিনি গর্ভবতী।
তাকে মহিলা পুলিশের মাধ্যমে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে কন্যাসন্তান জন্ম হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম জানান, তানিয়া নামের ওই নারীকে আটকের পর জানা যায় তিনি নিজেও প্রসূতি। রাতে সন্তান প্রসবের লক্ষ্মণ দেখা দিলে আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠাই। বর্তমানে মা ও সন্তান সুস্থ আছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
