লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অধ্যক্ষ, আওয়ামী লীগ নেতা এম ওয়াজেদ আলী হত্যার প্রধান আসামি নাহিদুজ্জামান বাবু (২১) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাটগ্রাম উপজেলার মুন্সীহাট সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল আসামি নাহিদুজ্জামানকে অদালতে তোলা হয়েছে। অভিযুক্ত নাহিদুজ্জামান বাবু পাটগ্রাম পৌর এলাকার রসুলগঞ্জ নিউ পূর্বপাড়ার আবদুস সামাদ প্রধানের ছেলে। নিহত এম ওয়াজেদ আলী তাদের প্রতিবেশী ছিলেন। এদিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার বলেন, আটক প্রধান আসামিকে আদালতে তোলা হয়েছে। ১৬৪ ধারায় তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন। রিমান্ডও চাওয়া হবে। অন্যদিকে পাটগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা এম ওয়াজেদ আলীর হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সকাল- সন্ধ্যা হরতাল পালিত হচ্ছে। গতকাল পাটগ্রাম উপজেলা সম্মিলিত নাগরিক সমাজের ডাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হরতাল পালন করেছে নাগরিক সমাজ। হরতাল ঘিরে পাটগ্রাম পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কে পিকেটিং করা হয়। বন্ধ রয়েছে খাবারসহ বিভিন্ন দোকানপাট। পাটগ্রাম থেকে লালমনিরহাট বা রংপুরগামী সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাটগ্রাম-বুড়িমারী মহাসড়কেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউপি ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন সুমন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার হত্যাকান্ডের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে।
মহাসড়ক দিয়ে কোনো যানবাহন পাটগ্রাম আসতে ও ছেড়ে যেতে পারছে না। পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকান্ডের মূল আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাটগ্রামে দোকানপাট, যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। পাশাপাশি জনগণের নিরাপত্তায় শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ টহল রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি রাতে পাটগ্রাম পৌর শহরের নিজ বাড়ির কাছে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এম ওয়াজেদ আলীকে। তিনি পাটগ্রাম মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। এ ঘটনার পর নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাহিদুজ্জামান বাবুর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।