শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

কমলা-মাল্টায় মঙ্গা জয়

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে চাষ হচ্ছে কমলা ও মাল্টা। অন্য ফসলের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে ফলের চাষ করে মঙ্গা জয়ের স্বপ্ন দেখছেন এ অঞ্চলের কৃষক। বারি মালটা, দার্জিলিং কমলা, চায়না কমলাসহ বিভিন্ন ফল চাষে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে এই জনপদে। শত শত মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হওয়ার পাশাপাশি স্বল্পমূল্যে ভিটামিন সির অভাব পূরণ ও ভিনদেশি এসব ফল হাতের নাগালেই পাচ্ছেন এখানকার মানুষ। লালমনিরহাটের আদিতমারী, হাতিবান্ধা, পাটগ্রাম, হাঁড়িভাঙা, মহেন্দ্রনগর এলাকায় গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক কমলা ও মাল্টা বাগান। চলতি মৌসুমে এ জেলায় এসব ফলের ভালো ফলন হওয়ায় কমছে আমদানি নির্ভরতা।

এখানকার উৎপাদিত সুস্বাদু ফল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রংপুর-বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কমলা ও মাল্টা বাগান মালিকরা। বাগানমালিক একরামুল হক জানান, হাঁড়িভাঙা এলাকায় চার একর জায়গা লিজ নিয়ে তিনি কমলা ও মাল্টা চাষ শুরু করেন।

প্রথমে তার বাগানে আড়াই হাজার মাল্টা ও ১ হাজার কমলা গাছ লাগান। তিন বছর পরিচর্চার পর সেই বাগানে ফল আসতে শুরু করে। গত বছর বাগান থেকে প্রায় ৭০ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেন তিনি। এ বছর কোটি টাকার ফল বিক্রির সম্ভাবনার কথা জানান। মাল্টা বাগান দেখতে আসা মনিরুজ্জামান জানান, আমাদের লালমনিরহাটে এত সুন্দর ফলের বাগান সত্যি প্রশংসার দাবিদার। এ অঞ্চলে ফলের বাগান আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া দরকার, এতে লাভের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, লালমনিরহাটের বেশ কিছু এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির কমলা ও মাল্টা চাষ হয়েছে। বাজারে ফলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা বাগান উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা করছি। ফলে এখানে ফলচাষি যেমন বাড়ছে তেমনি নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। আমাদের পরার্মশ থাকবে ফল চাষে আগ্রহীরা বাগান করার আগে যেন কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর